মশার থেকে বেশি ভয়ঙ্কর কয়েল!
২০ জানুয়ারি ২০২০, ০৬:০৪ পিএম | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৮ পিএম

টাইমস জীবনযাপন ডেস্ক:
আমাদের দেশে দিন দিন বাড়ছে মশার উপদ্রপ। সেই সঙ্গে বাড়ছে মশাবাহিত রোগ। আর মশাবাহিত রোগী মৃত্যুর সংখ্যাও কম নয়। তাইতো এর হাত রেখে রক্ষা পেতে মানুষ নানান পদ্ধতি অবলম্বন করেন। মশারি, কয়েল কিংবা মশা তাড়ানোর স্প্রে ইত্যাদি আরও কত পদ্ধতি।
জানেন কি, মশা যতটা ভয়ংকর ঠিক ততটাই ভয়ংকর মশা তাড়ানোর কয়েলও। বিশেষ করে মানহীন কয়েলে। যা অবৈধ ভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বানিয়ে থাকে। মশার কামড় মোটেও সহনীয় নয়। তাছাড়া ডেঙ্গু বা মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকে বাঁচতেই মানুষ কয়েলের ব্যবহার করে থাকেন। যা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে সবার জন্য।
ওয়ার্ল্ড হেলথ্ অর্গানাইজেশন (WHO) কয়েলে ব্যবহৃত কেমিক্যালের মাত্রা আন্তর্জাতিকভাবে নির্ধারণ করে দিলেও বাংলাদেশের কয়েল উৎপাদন কোম্পানীগুলো সেটা মানছে না। ফলে, অতিমাত্রায় ব্যবহৃত কেমিক্যালের কারণে কয়েল এখন মানবদেহের জন্যে মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মশার কয়েলে ব্যবহৃত বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান বাতাসের সঙ্গে মিশে থাকে। আর সেগুলো নি:শ্বাসের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে হার্ট, ফুসফুস ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। কেউ যদি হাত ধোয়া ছাড়া খাবার খায়, তবে খাবারের সঙ্গেও কয়েলের ক্ষতিকর কেমিক্যাল পাকস্থলীতে চলে যায়। ঘরে উড়তে থাকা বালুকণার সঙ্গেও এসব কেমিকেল সহজে মিশে যায় আর এরকম কিছু ধুলা-বালি আমরা খাবারের সঙ্গে খেয়ে ফেলি। শুধু তাই নয়, আমাদের শরীরের ত্বকও কয়েলে থাকা কিছু রাসায়নিক পদার্থ অ্যাবজর্ব করে নেয়।
সব ধরণের মানুষই কয়েলে থাকা কেমিক্যালের কারণে ভুক্তভোগী হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগে থাকে আমাদের শিশুরা, বিশেষ করে যাদের এখনো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়নি। অর্থাৎ যেসব শিশুদের ইমুইন সিস্টেম এখনো ডেভেলপ হয়নি, তাদের জন্যে কয়েলে থাকা রাসায়নিক মারাত্মক ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মশার ওষুধের ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়ায় হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ক্যানসার, ফুসফুস, কিডনির রোগসহ নানা রোগের বিপদ বাড়ছে। গাইনোকোলজিস্ট ডা. নওশিন শারমিন পূরবী জানিয়েছেন, কয়েলের ধোঁয়া মশা মারছে ঠিকই, কিন্তু তা মানুষের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। তিনি জানান, অনুমোদিত মাত্রার বিষাক্ত রাসায়ানিক ব্যবহার করে তৈরি করা মশার কয়েল প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। গর্ভপাতের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরুষের শুক্রানু কমে যাচ্ছে। প্রিম্যাচিউর বাচ্চার জন্মহার বেড়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, এসব কয়েলের ধোঁয়া চোখে কম দেখা, মাথাব্যথাসহ নানা সমস্যার জন্ম দিচ্ছে। তাই সচেতনাতা বাড়িয়ে এসব কয়েল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। মশা তাড়াতে অন্য কোনো স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি অবলম্বন করুন। তবে বেশি ভালো হয় মশারি ব্যবহার করা।
বিভাগ : জীবনযাপন
- নরসিংদী সরকারি কলেজের ২৫০ কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
- শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে হামলার প্রতিবাদে নরসিংদীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
- পলাশে বেতন-বোনাসের দাবিতে দেশবন্ধু পলিমারে শ্রমিক বিক্ষোভ
- নরসিংদী সমবায় ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন
- মনোহরদীতে নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা রোধে WAVE প্ল্যাটফর্ম গঠিত
- রায়পুরায় বিএনপি নেতা শ্যামলকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করল কলেজ শাখা ছাত্রদল
- ৫ দফা দাবিতে নরসিংদীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান
- পাঁচদোনায় অবৈধ ব্যাটারী কারখানায় আগুন, ৭ শ্রমিক দগ্ধ
- রায়পুরার সংবাদপত্রের এজেন্ট বিশ্বনাথ সাহা আর নেই
- টাইফয়েড টিকাদান নিয়ে নরসিংদীতে পরামর্শমূলক কর্মশালা
- নরসিংদী সরকারি কলেজের ২৫০ কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
- শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে হামলার প্রতিবাদে নরসিংদীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
- পলাশে বেতন-বোনাসের দাবিতে দেশবন্ধু পলিমারে শ্রমিক বিক্ষোভ
- নরসিংদী সমবায় ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন
- মনোহরদীতে নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা রোধে WAVE প্ল্যাটফর্ম গঠিত
- রায়পুরায় বিএনপি নেতা শ্যামলকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করল কলেজ শাখা ছাত্রদল
- ৫ দফা দাবিতে নরসিংদীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান
- পাঁচদোনায় অবৈধ ব্যাটারী কারখানায় আগুন, ৭ শ্রমিক দগ্ধ
- রায়পুরার সংবাদপত্রের এজেন্ট বিশ্বনাথ সাহা আর নেই
- টাইফয়েড টিকাদান নিয়ে নরসিংদীতে পরামর্শমূলক কর্মশালা