চিন্তাশীল হোন, দুশ্চিন্তা নয়!

১৩ নভেম্বর ২০২০, ০৭:২৮ পিএম | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৫, ১২:০৮ এএম


চিন্তাশীল হোন, দুশ্চিন্তা নয়!

জীবনযাপন ডেস্ক :

চিকিৎসা বিজ্ঞানিরা বরাবরই মানসিক অবসন্নতাকে হৃদরোগের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখে আসছে। এতে প্রমাণিত হয়, টেনশন কতটা ভয়ংকর হতে পারে আমাদের জীবনে। পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষ প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হচ্ছে নানান সমস্যার। ভাবতে হচ্ছে অসংখ্য ভাবনা। অতিরিক্ত চিন্তা শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে, যাতে ব্যাঘাত ঘটে স্বাভাবিক জীবনযাপনে।

চিন্তা করতে মানা নেই, শুধু বুঝতে হবে যে চিন্তাটুকু করছি তা কতখানি যৌক্তিক? একজন বাস্তববাদী মানুষ জানে কখন, কোথায়, কোন চিন্তা কতখানি করা উচিৎ। ফলে তিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলে নেবার ক্ষমতা রাখেন।

যখন মনে হবে চিন্তা গ্রাস করে ফেলছে, তাড়াতাড়ি আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠুন। পছন্দের কাজ করুন তখন। সেটি হতে পারে বই পড়া, সিনেমা দেখা, গেমিং, লেখালেখি। আপনি কে, কতটুকু যোগ্যতা আছে, কতটা কী করতে পারবেন এসব নিয়ে প্রশ্ন করুন নিজেকে।

এবার সেই অনুযায়ী চলুন। আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনুন। জীবনে চাপ থাকবে, বাঁধা থাকবে, ব্যর্থতার চোখরাঙানি থাকবে। তাই বলে থেমে থাকা যাবে না। মানসিকভাবে প্রস্তুত হোন। নিজের উপর আস্থা রাখুন।

ব্যায়াম করা এমনিই জরুরি। সকাল বেলা দশ মিনিট হাঁটাহাঁটি কিংবা দৌড় সারাদিন শরীর মন ফুরফুরে রাখতে সাহায্য করে। সুখী থাকার অন্যতম প্রধান চাবিকাঠি হল হাসিখুশি থাকা।

চাপের মাঝেও শুকনো হাসি দেবার চেষ্টা করুন। অন্যকে হাসান। জোর করে হলেও হাসুন। শুকনো হাসিটা একসময় তৃপ্তির হাসিতে পরিণত হবে।

ঘুমের চাইতে বড় ওষুধ আর কিছু নেই। আমাদের মানসিক চিন্তার একটা বড় প্রভাবক পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। ঘুমালে শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কও বিশ্রাম পায়। তাই যত চাপেই থাকুন, একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। পর্যাপ্ত ঘুম হলে অপ্রোয়জনীয় বা অতিরিক্ত চিন্তা মাথায় খুব কম ঘুরপাক খাবে।


বিভাগ : জীবনযাপন


এই বিভাগের আরও