হজ সফর: বাধাপ্রাপ্ত হলে করণীয়...
২৫ জুন ২০২০, ০২:৪৮ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ এএম
জীবনযাপন ডেস্ক:
করোনা মহামারির কারণে চলতি বছর বহিরাগতদের হজের ভিসা দেবে না বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের সরকার। ফলে চলতি বছর যাঁরা হজের নিয়ত করেছিলেন, প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, তাঁরা হজে যেতে পারছেন না। হজের সফর বাধাগ্রস্ত হওয়াকে ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় ‘ইহসার’ বলা হয়। পবিত্র কোরআনে ইহসার সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ ও ওমরাহ পূর্ণ করো। কিন্তু তোমরা যদি বাধাপ্রাপ্ত হও তবে সহজলভ্য কোরবানি করো। যে পর্যন্ত কোরবানির পশু তার স্থানে না পৌঁছায় তোমরা মাথা মুণ্ডন করবে না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯৬)
সপ্তম হিজরিতে মহানবী (সা.) বায়তুল্লাহর উদ্দেশে মদিনা থেকে বের হন। কিন্তু হুদাইবিয়া নামক স্থানে পৌঁছার পর মক্কার মুশরিকদের বাধার কারণে থেমে যেতে হয়। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত আয়াত নাজিল হয়। এই ঘটনার পর রাসুলুল্লাহ (সা.) পশু কোরবানি করেন এবং মাথা মুণ্ডিয়ে ফেলেন। (তাফসিরে ইবনে কাসির)
ইসলামী আইনজ্ঞরা হজ বা ওমরাহর উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধার পর বাধাপ্রাপ্ত হলেই শুধু ইহসার শব্দের প্রয়োগ করেন। সুতরাং কেউ ইহরাম বাঁধার আগে বাধাপ্রাপ্ত হলে তার ওপর কোনো কিছু আবশ্যক হবে না। তবে আল্লাহ ঘরে পৌঁছাতে না পারার কারণে ব্যথিত ও অনুতপ্ত হবে। আল্লাহর কাছে এই পরিস্থিতির অবসানের জন্য দোয়া করবে এবং মনে মনে ইস্তেগফার করবে। হাদিসের বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় ওমরাহে যেতে না পেরে মহানবী (সা.) ও সাহাবিরা প্রচণ্ড ব্যথিত হয়েছিলেন। মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রা.) থেকে বর্ণিত দীর্ঘ হাদিসে এসেছে, সন্ধিপত্র লেখা শেষ হলে রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবাদের তিন-তিনবার বললেন, ‘তোমরা ওঠো এবং কোরবানি করো ও মাথা কামিয়ে ফেলো।’ কিন্তু কেউ উঠলেন না। অতঃপর মহানবী (সা.) নিজে যখন মাথা মুণ্ডন করলেন এবং পশু কোরবানি করলেন, তখন সাহাবিরা তাঁর অনুসরণ করলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৭৩১)
হানাফি মাজহাব মতে, ইহরাম বাঁধার পর যেকোনো কারণে আরাফার ময়দানে অবস্থান ও তাওয়াফ করতে বাধাপ্রাপ্ত হলে তা ইহসার বলে গণ্য হবে এবং তার জন্য পশু কোরবানি করা আবশ্যক হবে। যতক্ষণ না প্রেরিত পশু হারামে না পৌঁছাবে অথবা তার নামে সেখানে পশু কোরবানি হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে ইহরাম ত্যাগ করবে না। আর হজ ও ওমরাহর বাধা দূর হওয়ার পর পুনরায় তা আদায় করে নেবে।
অন্য মাজহাব মতে, কেবল শত্রু দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলেই তাকে ইহসার বলা হবে। অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, পথে অর্থ শেষ হয়ে যাওয়া বা অন্য কোনো সমস্যার কারণে হজে যেতে না পারলে তাঁরা তাকে ইহসার বলেন না। ফলে তাঁদের মতে, শত্রু কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত না হয়ে অন্য কারণে হজ ও ওমরাহে যেতে না পারলে তার ওপর কোনো কিছু ওয়াজিব হবে না।
লেখক : মো. আবদুল মজিদ মোল্লা, সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সিসি) বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা।
বিভাগ : জীবনযাপন
- বেলাব উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
- জেলা প্রশাসন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত
- শিবপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণ উদ্বোধন
- নরসিংদীতে অর্থনৈতিক শুমারি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন
- নরসিংদীতে ইসকন নিষিদ্ধ ও আস্তানা বন্ধ করতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম
- নরসিংদীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১
- আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা
- নরসিংদী উপজেলা চেয়ারম্যানের কক্ষে ভাংচুর, ক্ষতিপূরণ আদায় করে মীমাংসা করলেন ইউএনও
- মৎস্য আহরণ বন্ধে দ্রুত কমিটি গঠনের নির্দেশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
- মৎস্য অধিদপ্তরের জন্য ৮২টি নতুন পদ সৃজন
- বেলাব উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
- জেলা প্রশাসন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত
- শিবপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণ উদ্বোধন
- নরসিংদীতে অর্থনৈতিক শুমারি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন
- নরসিংদীতে ইসকন নিষিদ্ধ ও আস্তানা বন্ধ করতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম
- নরসিংদীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১
- আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা
- নরসিংদী উপজেলা চেয়ারম্যানের কক্ষে ভাংচুর, ক্ষতিপূরণ আদায় করে মীমাংসা করলেন ইউএনও
- মৎস্য আহরণ বন্ধে দ্রুত কমিটি গঠনের নির্দেশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
- মৎস্য অধিদপ্তরের জন্য ৮২টি নতুন পদ সৃজন