করোনাভাইরাস: ডাক্তারের কাছে যাবেন কখন?
১৬ মার্চ ২০২০, ১১:৩১ এএম | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৭ এএম

জীবনযাপন ডেস্ক:
সর্দি, কাশি, শুষ্ক গলা এবং জ্বর; যখন কেউ অসুস্থ বোধ করেন তখন এসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আর শুরুতেই এসব উপসর্গ দেখে অনেক সময় বোঝা কঠিন যে এটি ভাইরাস নাকি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ। প্রথম দেখায় করোনাভাইরাস, যা ২০১৯-এনকভ নামেও পরিচিত, লক্ষণগুলো আর সাধারণ ঠাণ্ডা বা সর্দি জ্বরের লক্ষণগুলো একই মনে হতে পারে।
করোনা ভাইরাসের সাধারণ লক্ষণগুলো: জ্বর, শুষ্ক কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাংসপেশিতে ব্যথা, ক্লান্তি।
করোনা ভাইরাসে সচরাচর দেখা যায় না এমন লক্ষণগুলো: কফ তৈরি হওয়া, মাথাব্যথা, কফে রক্ত আসা, ডায়রিয়া।
করোনা ভাইরাসের বিরল লক্ষণগুলো: সর্দি, গলা ব্যথা- সর্দি এবং গলা ব্যথা হচ্ছে শ্বাসযন্ত্রের উর্ধাংশের সংক্রমণ। ফলে যাদের সর্দি আছে এবং গলাব্যথা করছে তারা সাধারণ কোনো ঠাণ্ডা বা ফ্লুতে আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া যায়।
শুরুতে অনেকের কোনো লক্ষণই দেয়া যায় না: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে অনেকের শরীরেই কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। জার্মান সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ বিষয়ক সংস্থা রবার্ট-কখ্-ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নতুন এই ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড হচ্ছে ১৪ দিন।
আপনি যদি অসুস্থ বোধ করার পর নিশ্চিত না হন যে কী হয়েছে তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। একজন চিকিৎসক আপনার কফ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হতে পারবে আপনার ঠিক কী হয়েছে।
রেসপিরেটরি মাস্ক কি উপকারী?
আসলে না। বর্তমান করোনাভাইরাস নাক ঝাড়া এবং কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তির দেহ থেকে বের হওয়া ‘ড্রপলেটের’ মাধ্যমে ছড়ায়। ফলে, নিরাপদ থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে যারা সংক্রমিত বা সম্ভবত সংক্রমিত, তাদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা। সংক্রমণমুক্ত থাকতে সাবান এবং গরম পানি দিয়ে নিয়মিত বিরতিতে হাত ধোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, সম্ভব হলে হাত ধোয়ার পর তা মুছতে ‘ডিসপোসেবল টাওয়েল’ ব্যবহার করলে ভালো হয়।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, অধিকাংশ ঠাণ্ডা বা ফ্লু হয় ভাইরাসের কারণে। ফলে সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়তে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার অর্থহীন। এন্টিবায়োটিক শুধু ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কাজে লাগে, ভাইরাস নয়।
এন্টিবায়োটিক তখনই কাজে লাগে যখন কারো শরীরের দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে ব্যাকটেরিয়া তার শরীরে প্রবেশ করে এবং সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে। আর এভাবে সংক্রমণ সৃষ্টি হতে পারে যা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। নিউমোনিয়া, টন্সিলে প্রদাহ, সিসটাইটিস বা মেনিনজাইটিস অধিকাংশক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। তাই সেসব রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন।
বিভাগ : জীবনযাপন
- নরসিংদী -৩ (শিবপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মনজুর এলাহীর গণসংযোগ
- বিএনপি সংঘাত-সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না :ড. মঈন খান
- বর্তমান সংবিধান সাধারণ মানুষের সংবিধান নয় : সারোয়ার তুষার
- শিবপুরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করল চাচাতো ভাইয়েরা
- পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
- চাঁদাবাজ ও খুনীদের বাংলার মসনদে আর দেখতে চাই না: সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম
- ক্ষমতার লোভে একের পর এক ভুয়া ভোট করেছিল আওয়ামী লীগ: ড. মঈন খান
- সমুদ্রে আমাদের সম্পদ এখনো অজানা :মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- শিবপুরে শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ছাত্র-শিক্ষক আহত
- সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে
- নরসিংদী -৩ (শিবপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মনজুর এলাহীর গণসংযোগ
- বিএনপি সংঘাত-সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না :ড. মঈন খান
- বর্তমান সংবিধান সাধারণ মানুষের সংবিধান নয় : সারোয়ার তুষার
- শিবপুরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করল চাচাতো ভাইয়েরা
- পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
- চাঁদাবাজ ও খুনীদের বাংলার মসনদে আর দেখতে চাই না: সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম
- ক্ষমতার লোভে একের পর এক ভুয়া ভোট করেছিল আওয়ামী লীগ: ড. মঈন খান
- সমুদ্রে আমাদের সম্পদ এখনো অজানা :মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- শিবপুরে শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ছাত্র-শিক্ষক আহত
- সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে