অনলাইনে কুরুচিপূর্ণ নাটক পরিবেশনের নিন্দা জানিয়ে বিশিষ্টজনদের বিবৃতি

২১ জুন ২০২০, ০৪:০০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ পিএম


অনলাইনে কুরুচিপূর্ণ নাটক পরিবেশনের নিন্দা জানিয়ে বিশিষ্টজনদের বিবৃতি

বিনোদন ডেস্ক:

বিভিন্ন ওয়েব প্ল্যাটফর্ম ও ইউটিউব চ্যানেলে কুরুচিপূর্ণ নাটক পরিবেশনের নিন্দা জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনরা। গতকাল শনিবার সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তাঁরা এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে নাট্যকার, পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রী, কলাকুশলী সবাইকে সুস্থ ও শৈল্পিক বিনোদনের প্রক্রিয়ায় আসার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।

বিবৃতিতে বিশিষ্টজনরা বলেছেন, ‘অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ করা যাচ্ছে অনেক দিন যাবৎ কিছু ইউটিউব এবং ওয়েব প্ল্যাটফর্মে অত্যন্ত দায়িত্বহীনতার সাথে কিছু নির্মাতা, প্রযোজক, নাট্যকার ও অভিনয়শিল্পী কুরুচিপূর্ণ নাটক পরিবেশন করে আসছে। এতে বিবেকবান ও সচেতন দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। আমরা এমন কাজকে তীব্রভাবে ভর্ৎসনা করি, নিন্দা জানাই।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটক জন্মলগ্ন থেকেই পারিবারিক বিনোদন মাধ্যম হওয়ায় দর্শকের রুচি ও মূল্যবোধ নির্মাণে ভূমিকা পালন করে আসছে। বেসরকারি টেলিভিশন আসার পর কিছু প্রতিভাবান নাট্যকার, পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রী ও কলাকুশলী এই মাধ্যমকে এক নতুন মহিমায় স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু কিছু কিছু চ্যানেলে নাটকের মান এমনভাবে নেমে এসেছে যে দেশের নাটক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে অনেক দর্শক। এর মধ্যেও কিছু ব্যতিক্রমী চ্যানেলে ভালো কাজ করার তাগিদও অনুভব করেছেন পরিচালকরা। কিন্তু অনলাইন প্রচারমাধ্যমগুলোতে অবাধ প্রচারের সুযোগে যৌনতা ও সহিংসতাকে উপজীব্য করে অশ্লীলতাকে আশ্রয় করেছে। সম্প্রতি সেই সব নাটক ওয়েবসাইট ও ইউটিউবে প্রদর্শিত হয়ে বাঙালির চিরন্তন সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে আঘাত হানতে শুরু করেছে।

বিবৃতিতে আশির দশকে দেশের চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার প্রবণতার কারণে দর্শকবিমুখতার বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, একইভাবে যদি দর্শক নাটক বর্জন করতে থাকে তাহলে সেটা হবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

প্রযুক্তির কল্যাণে প্রচলিত মাধ্যমের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হওয়া অন্য মাধ্যম যেমন ইউটিউব ও ওয়েব প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণ বা বর্জনের পক্ষপাতী তাঁরা নন জানিয়ে বিশিষ্টজনরা বলেছেন, অপ্রয়োজনে শুধু দর্শক টানার মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে আমাদের নাটক শুধুই বিনোদনের পণ্য হয়ে দাঁড়াক তাও তাঁরা চান না। করোনা-পরবর্তী সময়ে শৈল্পিক উপস্থাপনায় নতুন অভিজ্ঞতায় উজ্জীবিত থেকে আমাদের শিল্প এক নতুন অভিধা সৃষ্টি করবে বলেও তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী বিশিষ্টজনদের মধ্যে আছেন সৈয়দ হাসান ইমাম, মুস্তাফা মনোয়ার, মামুনুর রশীদ, আলী যাকের, আবুল হায়াত, দিলারা জামান, ফেরদৌসী মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর, এ টি এম শাসমুজ্জামান, ড. ইনামুল হক, ম. হামিদ, নওয়াজীশ আলী খান, গোলাম কুদ্দুস (সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট) প্রমুখ।


বিভাগ : বিনোদন


এই বিভাগের আরও