অভিনেতা আবদুল কাদেরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

২৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:৫৫ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম


অভিনেতা আবদুল কাদেরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনপ্রিয়তা অভিনেতা আবদুল কাদেরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, সাবলীল ও স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়ের মধ্য দিয়ে আবদুল কাদের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা আবদুল কাদের। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৫১ সালে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল কাদের। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষকতা দিয়ে। বিজ্ঞাপনী সংস্থায় এক্সিকিউটিভ হিসেবে চাকরির পর ১৯৭৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক কোম্পানি বাটাতে চাকরি করেন। সেখানে ছিলেন ৩৫ বছর।

১৯৭২ সাল থেকে টেলিভিশন ও ১৯৭৩ সাল থেকে রেডিও নাটকে অভিনয় শুরু করেন। এর আগে যুক্ত হন মঞ্চ নাটকে।

টেলিভিশনে আবদুল কাদের অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘এসো গল্পের দেশে’। বিখ্যাত ‘কোথাও কেউ নেই’ ছাড়াও অভিনয় করেন মাটির কোলে, নক্ষত্রের রাত, শীর্ষবিন্দু, সবুজ সাথী, তিন টেক্কা, যুবরাজ, আগুন লাগা সন্ধ্যা, প্যাকেজ সংবাদ, সবুজ ছায়া, কুসুম কুসুম ভালোবাসা, নীতু তোমাকে ভালোবাসি, আমাদের ছোট নদী, দুলাভাই, অজ্ঞান পার্টি, মোবারকের ঈদ, বহুরূপী, এই মেকআপ, ঢুলি বাড়ি, এক জনমে, জল পড়ে পাতা নড়ে, খান বাহাদুরের তিন ছেলে-সহ অসংখ্য নাটকে।

থিয়েটারের প্রায় ৩০টি প্রযোজনার এক হাজারের বেশি প্রদর্শনীতে অভিনয় করেছেন তিনি। উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, এখনও ক্রীতদাস, তোমরাই, স্পর্ধা, দুই বোন ও মেরাজ ফকিরের মা। ১৯৮২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে বাংলাদেশের নাটক থিয়েটারের ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’-এ অভিনয়। এ ছাড়া দেশের বাইরে জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, কলকাতা, দিল্লি, দুবাই এবং দেশের প্রায় সব কটি জেলায় আমন্ত্রিত হয়ে অভিনয় করেছেন।


বিভাগ : বিনোদন


এই বিভাগের আরও