গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়বে

০৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৫:৫১ পিএম | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম


গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়বে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দিন দিন বেড়েই চলেছে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকসানের পরিমাণ। লোকসান সামাল দিতে দাম বাড়তে চলেছে গ্যাস ও বিদ্যুতের। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা আসতে পারে শিগগিরই। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ইতোমধ্যে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি শেষ করেছে। গত সোমবার জ্বালানির দাম বছরে একাধিকবার পরিবর্তন করা যাবে, এমন বিধান রেখে বিইআরসি (সংশোধন) আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বিইআরসির কাছে গণশুনানিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে পিডিবি বলেছে, ২০২০ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৭ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। বিইআরসির তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে পিডিবি শুধু কেন্দ্র ভাড়া দিয়েছে ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকা, গত বছর দিয়েছে ১৫ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা। চলতি বছর দিতে হবে ২০ হাজার ৩১ কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বেড়েছে। পরিস্থিতি এক বছরের মধ্যেও পরিবর্তন হয়নি। সে কারণে আইনটি যুগোপযোগী করার জন্যই সংশোধনী আনা হচ্ছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সরকার যা কিছু করুক, মানুষের স্বার্থ বিবেচনা করেই করবে।

গত ১০ বছরে খুচরা বা গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৬ বার। আর পাইকারি পর্যায়ে বেড়েছে ৪ বার। এর মধ্যে ২০১৭ সালে ১ বছরের মধ্যে দুবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) উচ্চ আদালতে একটি রিট করে। আদালত বিইআরসির কাছে জানতে চান, বছরে দুবার দাম বাড়ানোর কথা আইনের কোথায় আছে। বিইআরসি তখন এর ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।

গত বছর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে শুধু কেন্দ্রের ভাড়া হিসেবেই সরকার দিয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এ বছর এর পরিমাণ হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে বছরে সরকারের খরচ হয় ১৯ হাজার কোটি টাকা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সরকারের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে ব্যয় বেশি বলে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বেশির ভাগ সময় বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু বন্ধ থাকলেও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া (ক্যাপাসিটি পেমেন্ট) দিতে গিয়ে লোকসানে পড়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। গত বছরে এই ভাড়ার পরিমাণ ছিল সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এ বছর তা হবে ২০ হাজার কোটি টাকা।


বিভাগ : অর্থনীতি


এই বিভাগের আরও