স্টিল স্ট্রাকচার সেক্টরে শুল্ক বৈষম্য দূরীকরণের দাবি

১৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:৪১ পিএম | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম


স্টিল স্ট্রাকচার সেক্টরে শুল্ক বৈষম্য দূরীকরণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
স্টিল স্ট্রাকচার সেক্টরকে বাংলাদেশের একটি উদীয়মান শিল্পখাত হিসেবে উল্লেখ করে এখাতের উদ্যোক্তারা বলেছেন, বর্তমানে এ শিল্পখাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। দেশিয় উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় এখন অভ্যন্তরীণ স্টিল স্ট্রাকচারের চাহিদার প্রায় ৯০ ভাগ যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে। এ সেক্টর ১৫ বছর আগেও আমদানিনির্ভর ছিল। তারা দেশিয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় স্টিল স্ট্রাকচার সেক্টরে শুল্ক হার যৌক্তিকীকরণের দাবি জানান।

স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসবিএমএ) এর এক প্রতিনিধিদল আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এম.পি এর সাথে বৈঠককালে এ দাবি জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে এসবিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ রেজওয়ানুল মামুন, উপদেষ্টা প্রশান্ত কুমার দাস, কোষাধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য তোফায়েল আহমদে তপনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে স্টিল বিল্ডিং শিল্পখাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় সংগঠনের নেতারা বলেন, দীর্ঘস্থায়ীত্ব, স্থানান্তর সুবিধা এবং জানমালের নিরাপত্তা বিবেচনায় এনে দেশে স্টিল স্ট্রাকচারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়ার প্লান্ট, এলএনজি, রেলওয়ে গ্রিডার, হাইওয়ে ব্রীজসহ বড় বড় প্রকল্পে এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। সরকারি সুযোগপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলো শুল্কমুক্ত ফিনিস প্রোডাক্টস্ আমদানির সুবিধা পাওয়ায় এ শিল্পখাত অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখিন হচ্ছে। তারা এ শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের আমদানি শুল্ক কমানোর জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এসময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশিয় শিল্পের স্বার্থ সুরক্ষায় সরকার সম্ভব সব ধরণের নীতি সহায়তা দেবে। তিনি স্টিল স্ট্রাকচারকে পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ উল্লেখ করে এ শিল্পের প্রসারে সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান। শুল্ক বৈষম্যের বিষয়টি যাচাই বাছাই করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের প্রতি অনুরোধ জানানো হবে বলে তিনি এসবিএমএ’র নেতাদের আশ্বস্ত করেন।

 


বিভাগ : অর্থনীতি


এই বিভাগের আরও