করোনাভাইরাস: বিকাশ নগদ রকেটের উচ্চ চার্জ
১৩ এপ্রিল ২০২০, ১০:৫৮ পিএম | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫৪ এএম
অর্থনীতি ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি মানুষ, প্রয়োজনীয় লেনদেন সাড়ছেন বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে। তবে মহামারী এই ভাইরাসের সময়েও এসকল সেবা প্রদানকারী মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর উচ্চ চার্জে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা।
গ্রাহকদের অভিযোগ, দেশের এমন ক্রান্তিলগ্নেও এসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন লেনদেনে বেশি মাশুল কাটছে। এটা এক ধরনের অমানবিক আচরণ। দ্রুত সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। তাদের মতে, অন্তত করোনাভাইরাসের এ সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানবিক হওয়া উচিত।
একজন বিকাশ গ্রাহক বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ দিশাহারা। সব ধরনের লেনদেনে স্থবিরতা। শুধু চাঙ্গা বিকাশ, রকেট ও নগদের লেনদেন। সে সুযোগের অপব্যবহার করছে এসব প্রতিষ্ঠান।
এক পোশাক শ্রমিক বলেন, বেশির ভাগ শ্রমিকের অ্যাকাউন্ট বিকাশে কিন্তু প্রণোদনার তহবিল থেকে যে বেতন-ভাতা পাব তার বড় একটি অংশ চার্জ বাবদ বিকাশে দিয়ে দিতে হবে। এটা অনেক কষ্টের। অন্তত এ সময় যদি বিকাশের চার্জ কিছুটা কম নিত তাহলে আমাদের জন্য ভালো হতো।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিকাশ বর্তমানে ক্যাশ আউট করতে প্রতি হাজারে সাড়ে ১৮ টাকা কাটে। আর ক্যাশ ইনে কোনো টাকা কাটে না। তবে এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে টাকা পাঠাতে গেলে যে কোনো অংকের জন্য কাটে ৫ টাকা। রকেটেও প্রায় একই চিত্র।
রকেটে ক্যাশ আউটে ৯ টাকা এবং ক্যাশ ইনেও ৯ টাকা কাটে। সব মিলিয়ে টাকা উত্তোলন এবং জমার ক্ষেত্রে রকেটের একজন গ্রাহককে খরচ করতে হয় ১৮ টাকা। এছাড়া এক ব্যক্তি আরেক ব্যক্তিকে টাকা দেয়া-নেয়া করতে গেলে প্রত্যেক অংকের জন্য খরচ করতে হয় ৫ টাকা।
তবে নগদে কিছুটা কম আছে। ক্যাশ আউটে নগদে প্রতি হাজারে কাটে সাড়ে ১৪ টাকা। ক্যাশ ইনে নেই। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির বেলায় কাটে ৪ টাকা।
এ বিষয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুর রহমান বলেন, হাজারে ১৮ থেকে সাড়ে ১৮ টাকা সার্ভিস চার্জ এটা অযৌক্তিক। আর মহামারীর সময় তো মোটেও এমনটি করা উচিত নয়। অন্তত এ সময় তাদের মানবিক হওয়া উচিত।
বিকাশের যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, আমরা সেবার বিনিময়ে গ্রাহকের কাছ থেকে যে অর্থ নিই, তার বড় অংশই এজেন্ট, ডিলার, নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভাগ করে দিতে হয়। এটি এমন একটি সেবা, এজেন্ট ও ডিলারদের পর্যাপ্ত ইনসেনটিভ দেয়া না হলে তারা এ সেবা দিতে আগ্রহী হবেন না। এখান থেকে খুব বেশি লাভ থাকে না। (সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল)
বিভাগ : অর্থনীতি
- মাধবদীতে যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় ইজিবাইকের চালকসহ নিহত-৩
- ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানদের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন, দগ্ধ ৬
- নরসিংদীতে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন
- নরসিংদীর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ খেলার উপযোগী করার নির্দেশ
- শিবপুরে বেগম খালেদা জিয়া ও মনজুর এলাহীর রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল
- রায়পুরা কলেজ শাখা ছাত্রদলের ২ নেতার পদত্যাগ
- শিবপুরে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সেমিনার অনুষ্ঠিত
- আলোকবালীতে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা
- নরসিংদী সরকারি কলেজের ২৫০ কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
- শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে হামলার প্রতিবাদে নরসিংদীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
- মাধবদীতে যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় ইজিবাইকের চালকসহ নিহত-৩
- ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানদের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন, দগ্ধ ৬
- নরসিংদীতে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন
- নরসিংদীর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ খেলার উপযোগী করার নির্দেশ
- শিবপুরে বেগম খালেদা জিয়া ও মনজুর এলাহীর রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল
- রায়পুরা কলেজ শাখা ছাত্রদলের ২ নেতার পদত্যাগ
- শিবপুরে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সেমিনার অনুষ্ঠিত
- আলোকবালীতে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা
- নরসিংদী সরকারি কলেজের ২৫০ কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
- শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে হামলার প্রতিবাদে নরসিংদীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন