সবাই এখন আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে, আসলরা পিছিয়ে: শামীম ওসমান

৩১ আগস্ট ২০১৯, ০৭:০২ পিএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ পিএম


সবাই এখন আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে, আসলরা পিছিয়ে: শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী নেতা সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান আক্ষেপ করে বলেছেন, সবাই এখন আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে, কিন্তু দলের নিবেদিতপ্রাণ আসলরাই পিছিয়ে পড়েছে। আর এ কারণে ১৫ আগস্টের মতো আরো একটি বিয়োগাত্মক ঘটনা ঘটে কী না, এ নিয়ে চিন্তার বিষয় রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস স্মরণে শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ এর খানপুরে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, ‘এখন দেখি সবাই আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। পুলিশ, ডাক্তার সবাই এখন আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। যে কারণে আওয়ামী লীগের আসল ত্যাগী নেতাকর্মীরা পিছিয়ে যাচ্ছে।’

‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মত ঘটনা এখনও ঘটতে পারে। কারন এখন দেশে ষড়যন্ত্র চলছে।’

শামীম ওসমান  আরও বলেন, ‘আমাকে দুইবার মন্ত্রী করতে চেয়েছিল, আমি মন্ত্রী হই নাই। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি করতে চেয়েছিল, আমি হইনি। আমরা রাজনীতি করি মানুষকে ভালবেসে, দেশকে ভালবেসে, রাজনীতি করি সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার জন্য।’

‘এখন সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা মনে করলে সমস্যা, সবাইকে আওয়ামী লীগার মনে করলে সমস্যা। অমুক্তিযোদ্ধাদের ধাক্কায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা চলে যায়। এখন চরম দুশ্চরিত্র দুর্নীতিবাজরাও দুর্নীতি মুক্ত করার কথা বলছে। সিম্পটম (নমুনা) ভালো না।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি চৌধুরী ইকবাল বাহারের সভাপতিত্বে আলোচনায় জেলার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু জাহের, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম ইকবাল আর্সনাল, মহাসচিব এমএ আজিজ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে শামীম ওসমানের। তার শতাধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুর বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে মাদক সম্পৃক্ততার মামলা।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বেশ  কয়েকজন কাউন্সিলরকেও মাদক ও ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শামীম ওসমান তাদের ছাড়াতে এসপি অফিসে গেলেও পুলিশ তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে পাঠায়।

এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের পরিবারকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ফতুল্লার বাংলাভবনে প্রতিবাদ সভাও করেছিলেন শামীম ওসমান। যেখানে এসপি হারুনের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিয়েছিল।

এর তিন দিন পর এসপি অফিসে যান শামীম ওসমানের আরেক ভাই জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান। সেদিন এসপি হারুন বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ী, জুয়ারি, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যূকে গ্রেপ্তারের পর যদি দেখা যায় লোকটি আপনাদের তাহলে কোন সমস্যা নেই। আপনারা আদালত থেকে জামিন করিয়ে নিবেন কেউ জানবে না। আমরা গ্রেপ্তার করবো অ্যাজ পার ল আপনারা জামিন করিয়ে নেবেন।’


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও