এরশাদকে নিয়ে টানাপোড়েন শেষ হচ্ছে না

১৪ জুলাই ২০১৯, ১০:১৮ এএম | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম


এরশাদকে নিয়ে টানাপোড়েন শেষ হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আর নেই। রোববার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুর পরেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে নিয়ে টানাপোড়েন শেষ হচ্ছে না। তার কবর কোথায় হবে এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তার পরিবার ও দলের শীর্ষ নেতারা একেকজন একেক রকম মত দিচ্ছেন। তার সাবেক স্ত্রী এবং সন্তানের মা বিদিশা সিদ্দিকাও এ বিষয়ে চুপ থাকছেন না।

এরশাদকে কোথায় দাফন করা হবে সে নিয়ে দলের নেতারা এখনও একমত হতে পারেননি বলে জানা গেছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছে বলেও জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র।

এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা বলেছেন, ‘এরশাদের নিজের এলাকা রংপুরের প্রতিটি মানুষ চাইছে তাকে যেন সেখানে সমাহিত করা হয়। আমিও তাদের অনুভূতির সাথে একমত পোষন করছি। আর যেহেতু রংপুরে এরশাদ তার গড়া পল্লী নিবাসটি এরিক এরশাদকে দিয়ে গেছেন সেহেতু তাকে পল্লী নিবাসে সমাহিত করা হলে এরিক সবচেয়ে সম্মানিত হবে। রংপুরের মানুষের অনুভূতিকে এরিক সম্মান জানাবে।’

প্রসঙ্গত, গত ২২ জুন থেকে ৮৯ বছর বয়সী এরশাদ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি হিমোগ্লোবিন-স্বল্পতা, ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন। তার বোনম্যারো ক্যানসার হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছিল। সপ্তাহ দুয়েক ধরেই তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলায় দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন এরশাদ। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯৬০-১৯৬২ সালে তিনি চট্টগ্রাম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কেন্দ্রে অ্যাডজুট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬৬ সালে তিনি কোয়েটার স্টাফ কলেজ থেকে স্টাফ কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি শিয়ালকোটে ৫৪ ব্রিগেডের মেজর ছিলেন। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি লাভের পর ১৯৬৯-১৯৭০ সালে ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট-এর অধিনায়ক ও ১৯৭১ - ১৯৭২ সালে ৭ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর অধিনায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও