ভৈরবে হাত পা বাঁধা অবস্থায় কবরস্থান থেকে রিক্সাচালক উদ্ধার

১০ জুন ২০২০, ০৭:১৬ পিএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১২ পিএম


ভৈরবে হাত পা বাঁধা অবস্থায় কবরস্থান থেকে রিক্সাচালক উদ্ধার

ভৈরব প্রতিনিধি:
ভৈরবে কবরস্থান থেকে হাত পা ও মুখ বাধা অবস্থায় কাশেম মিয়া (৫৭) নামে এক রিক্সাচালককে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। গভীর রাতে রিক্সা ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ওই রিক্সাচালককে হাত পা ও মুখ বেধে পৌর কবরস্থানের ভিতরে ফেলে রেখে যায় ছিনতাইকারীরা। মঙ্গলবার (০৯ জুন) দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার সময় ভৈরব পৌর কবরস্থানের ভিতরে এঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর রাতে রিক্সাচালক কাশেম মিয়া ভৈরব বাসষ্ট্যান্ড এলাকা হতে রেলওয়ে ষ্টেশনে যাচ্ছিলেন। পৌর কবরস্থানের সামনে আসা মাত্রই আমলাপাড়া গ্রামের চিহ্নিত ছিনতাইকারী জীবনসহ আরো কয়েকজন মিলে রিক্সার গতি রোধ করে রিক্সাচালক কাশেমকে মারধর করে রিক্সাটি ছিনিয়ে নেয়। এসময় কাশেম মিয়া বাঁধা দিলে দড়ি দিয়ে তার হাত পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরে ছিনতাইকারীরা তাকে টেনে হিচড়ে কবরস্থানের পেছনে একটি পুকুরে ফেলে দিতে নিয়ে যায়। তখন অনেক কান্নাকাটি করে জীবন ভিক্ষা চাইলে ছিনতাইকারী জীবন ও তার সঙ্গীয়রা কাশেম মিয়াকে কবরস্থানের ভেতরে ফেলে চলে যায়।
পরে কাশেম এর চিৎকারে পুকুরের পাহারাদার রহিছ মিয়া এগিয়ে এসে হাত পা ও মুখের বাঁধন খুলে দেয়। বাঁধন মুক্ত হয়ে কাশেম মিয়া ষ্টেশনে গিয়ে ছিনতাইকারী জীবনকে দেখতে পেয়ে রিক্সার মহাজন হীরা মিয়াকে ঘটনা খুলে বলে। হীরা মিয়া তখন জীবনকে চাপ দিলে ভোর ছয়টার দিকে ছিনিয়ে নেয়া রিক্সাটি জগন্নাথপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করে ফেরত দেয়। ছিনতাইকারী জীবন ও রিক্সার মহাজন হীরা মিয়ার বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় এ নিয়ে আর পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি।

রেল ষ্টেশনের পুকুরের পাহারাদার রহিছ মিয়া বলেন, কাশেম মিয়া হামাগুড়ি দিয়ে আমার কাছে এসে বলে আমাকে বেঁধে আমার রিক্সা নিয়ে গেছে। ভাই আমার বাঁধন খুলে দাও। পরে আমি তার বাঁধন খুলে দিলে সে ষ্টেশনের দিকে চলে যায়।

রিক্সার মহাজন হীরা বলেন, খবর শুনে আমি ভোর রাতেই জীবনকে ষ্টেশনে পেয়ে তাকে আটক করে কিছু মারধর করলে ছিনিয়ে নেয়া রিক্সাটি সে জগন্নাথপুর গ্রাম থেকে এনে দেয়। বেশ কিছুদিন যাবত জীবনসহ আরো কয়েকজন মিলে রাতে এ রাস্তায় চুরি ছিনতাই ঘটিয়ে যাচ্ছে। তার ভয়ে রিক্সা চালকরা রাতে রিক্সা চালাতে চায় না।

এলাকাবাসি মুকুল মিয়া বলেন, কাশেম মিয়ার কাছ থেকে ঘটনা শুনে আমরা ভোর বেলায় রেল ষ্টেশন থেকে জীবনকে আটক করি। পরে আমাদের চাপের মুখে জীবন রিক্সা ও ব্যাটারী ফেরত দেয়।

এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফেরদাউস আহাম্মদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দিলে ভাল হতো। এ রাস্তায় ছিনতাই রোধ করতে তারপরও আমরা জীবনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করব। তার নামে রেলওয়ে থানায় আগেও একটি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও