আপাতত রেলের ভাড়া বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই: রেলমন্ত্রী

৩১ আগস্ট ২০২০, ০৪:২০ পিএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৩ এএম


আপাতত রেলের ভাড়া বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই: রেলমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আপাতত রেলের ভাড়া বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। রেলওয়েতে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ভাড়া বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেয়া হয়নি। অনেক আগের করা কমিটি তাদের বক্তব্য আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এটির ভুল ব্যাখ্যা মিডিয়ায় চলে এসেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সোমবার (৩১ আগস্ট) চীনের সঙ্গে রেল ল্যাগেজ ভ্যান কেনার চুক্তির পরে তিনি এসব কথা জানান।

রেল ভবনে রেলওয়ের জন্য ৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০ টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান সহ মোট ১২৫ টি লাগেজ ভ্যান সংগ্রহের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০ টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান সহ মোট ১২৫ টি লাগেজ ভ্যান সংগ্রহের লক্ষ্যে এক চুক্তি রেলভবনে স্বাক্ষরিত হয়। রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এমপির উপস্থিতিতে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান চীনের সিএনটিক-রেলটেকো-জিনসি, যৌথ কোম্পানীর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ইয়াং বিং।

রেল মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রেলওয়েকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। যাত্রী সেবার মান উন্নয়নসহ রেলপথ নির্মাণ ও সংস্কারের পাশাপাশি মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রেও ব্যপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এরই অংশ হিসাবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এর সহযোগীতায় ১২৫ টি লাগেজ ভ্যান সংগ্রহের অনুমোদন করেছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার রেলওয়ে সেক্টর উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি মালামাল ও বিশেষায়িত পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে সুদীর্ঘ ৪০ বছর পর এ সকল লাগেজভ্যান সংগ্রহ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, করোনার মধ্যে রেলওয়ে রাজশাহী থেকে আম পরিবহন করেছে, এছাড়াও শাকসবজি ও নিত্য পণ্য পরিবহন করেছে। কোরবানীর ঈদে পশু পরিবহন করেছে। ভবিষ্যতে কৃষকের পণ্য সরাসরি ভোক্তার নিকট পৌছানোর উদ্যোগ হিসাবে লাগেজ ভ্যান ক্রয় করা হচ্ছে। এতে করে কৃষক তার পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

উল্লেখিত লাগেজ ভ্যান সমূহ স্টেইনলেস স্টিলবডি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, উচ্চগতি সম্পন্ন বগি এবং অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম সম্বলিত হওয়ায় সাধারন ও বিশেষায়িত পণ্য, যেমন বিভিন্ন রকমের খাদ্য দ্রব্য ও অন্যান্য পঁচনশীল দ্রব্য ইত্যাদি কম খরচে ও কম সময়ের মধ্যে নিরাপদে গন্তব্য স্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।

রেলওয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় আজ ১২৫ টি ল্যাগেজ ভ্যান সংগ্রহের জন্য মার্কিন ডলার ৪ কোটি ২৭ লাখ৪১ হাজার ৫৬৯ (চার কোটি সাতাশ লক্ষ একচল্লিশ হাজার পাঁচশত উনসত্তর ডলার) প্রয়োজন হবে, যা বাংলাদেশি ৩৫৮ কোটি ,৩৯ লক্ষ টাকার (সিডি-ভ্যাট ব্যতীত) সমপরিমাণ। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে ২০ মাসের মধ্যে সরবরাহ শুরু হরে এবং ২৭ মাসের মধ্যে সরবরাহ শেষ হবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহপিরিচালক মো. শামসুজ্জামান সহ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বিভাগ : বাংলাদেশ