প্রতারক সাহেদ গুলিভর্তি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার, আনা হয়েছে র‌্যাব সদর দফতরে

১৫ জুলাই ২০২০, ১০:৩৯ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ পিএম


প্রতারক সাহেদ গুলিভর্তি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার, আনা হয়েছে র‌্যাব সদর দফতরে
অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত সাহেদ। ছবি: সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে দেবহাটা সীমান্তবর্তী কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর থেকে একটি গুলিভর্তি পিস্তলসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র এএসপি বজলুর রশিদ জানান।

গ্রেফতার হওয়া রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে ঢাকায় র‌্যাবের সদর দফতরে নেয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে তাকে সেখানে নেয়া হয়। সেখানে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদ করা হবে। এর আগে সাহেদকে বহনকারী হেলিকপ্টার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় তেজগাঁও বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। সাতক্ষীরা থেকে র‍্যাবের অভিযান দলের হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকায় আনা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া ইউংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক গণমাধ্যমকে বলেন, সাহেদ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিল। আর কিছুক্ষণ দেরি হলে হয়ত তাকে আর পাওয়া যেত না।
সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গপতি এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় আরও দশজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাহেদের আগে সবশেষ গ্রেপ্তার হন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ।

৬ জুলাই সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করে টাকার বিনিময়ে রোগীদের করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা দেয়া এবং করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে র‍্যাব উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। এরপর রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। ৭ জুলাই করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‍্যাব। মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।


বিভাগ : বাংলাদেশ