স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে শোকজ, ডা. সাবরিনা বরখাস্ত

১২ জুলাই ২০২০, ০৯:৩৩ পিএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ এএম


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে শোকজ, ডা. সাবরিনা বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই চিঠির বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির আগে কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল, চুক্তির পর শর্তগুলো প্রতিপালনে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা বলতে কী বোঝানো হয়েছে, এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে দিতে বলেছে মন্ত্রণালয়।

এদিকে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে একই দিন করোনাভাইরাসের ভুয়া নমুনা পরীক্ষার ঘটনায় ডা. সাবরিনাকে তেজগাঁও ডিসির কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নেয়া হয়। এরপরই দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চিকিৎসক সাবরিনাকে বরখাস্তের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি সরকারী চাকুরে হওয়া সত্ত্বেও অনুমতি না নিয়েই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের (জেকেজি) চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। তাছাড়া করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ দিয়ে অর্থ আত্মসাতের সঙ্গেও তিনি জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারী কর্মচারি বিধিমালা অনুযায়ী এগুলো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব কারণে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সাবরিনা জেকেজির চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন। তাকে আজ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশিদ আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আগামীকাল সোমবার সাবরিনাকে আদালতে নেওয়া হবে। পুলিশ রিমান্ড আবেদন করবে। জিজ্ঞাসাবাদের পর এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত রয়েছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে।

করোনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফ চৌধুরীর প্রতারণার নেপথ্যে ছিলেন তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। তাদের এক ল্যাপটপেই পাওয়া গেছে ১৫ হাজারেরও বেশি করোনার ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট। এরই মধ্যে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফসহ ৬ জন।

ডা. সাবরিনার বিষয়ে তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে চাকরিতে থেকেই জেকেজির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি। কীভাবে, কার মাধ্যমে তিনি এ কাজ হাতিয়েছেন, সে ব্যাপারে চলছে অনুসন্ধান। জেকেজির প্রতারণা থেকে ডা. সাবরিনার কোনোভাবেই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ তার স্বামী আরিফ চৌধুরী জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাবরিনার সক্রিয় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।


বিভাগ : বাংলাদেশ