প্যাকেটজাত ভারতীয় মহিষের মাংস জব্দ, ১ জনকে কারাদণ্ড

০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৩:৪০ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪ পিএম


প্যাকেটজাত ভারতীয় মহিষের মাংস জব্দ, ১ জনকে কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে প্যাকেটজাত ভারতীয় গরুর মাংস বিক্রির দায়ে মো: সামির নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ১১। রবিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আদমজী বিহারী ক্যাম্প এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় একটি কাভার্ড ভ্যানে রক্ষিত ১০ কেজির ২০টি, ১৮ কেজির ২২টি এবং ২০ কেজির ০৩ টি ধরনের প্যাকেটে আনুমানিক ৬৫০ কেজি মহিষের মাংস ও কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়।

র‌্যাব ১১ সিপিএসসি ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, সপ্তাহে ০৩ দিন ঢাকার তেজগাঁও হতে অননুমোদিতভাবে প্যাকেটজাত মাংসগুলো নিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট ও স্থানীয় কশাই'র কাছে বিক্রি করা হতো। যা তারা হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট ও সাধারণ লোকজনের কাছে গরুর মাংস বলে বিক্রি করে। হিমায়িত ও প্যাকেটজাত মাংসগুলো বিক্রির জন্য আইনানুযায়ী প্রাণিসম্পদ কর্তৃক কোয়ারান্টাইন সার্টিফিকেট থাকার প্রযোজন তা তাদের নেই। আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারেক ট্রেডার্স ও ইগলু এবং প্যাকেটের গায়ে তারেক ট্রেডার্স ও ইগলু লেখা থাকলেও উক্ত কোম্পানীর অনূকুলে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কোয়ারান্টাইন সার্টিফিকেট দেখাতে পারেনি।


হিমায়িত মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের আইনানুযায়ী প্যাকেটজাত করা হতে ভোক্তার কাছে পৌঁছা পর্যন্ত ফ্রিজিং চেইন রাখার বিধান থাকলেও তা অমান্য করে তারা নন-ফ্রিজিং গাড়িতে নিয়ে আসে। যার ফলে মাংসের গুনগতমান নষ্ট হয়ে যায় এবং এই মাংস জনস্বাস্থ্যের পক্ষে ব্যাপক ক্ষতিকর বলে প্রতীয়মান হয়। এই সমস্ত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে অপরাধ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক কর্তৃক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে অভিযুক্ত মোঃ সামির’কে ০৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয় এবং তিনি জব্দকৃত মহিষের মাংস ধ্বংস করার নির্দেশ দেন।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও