সিটি করপোরেশন নির্বাচন: রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

৩১ জানুয়ারি ২০২০, ০৬:১৫ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ পিএম


সিটি করপোরেশন নির্বাচন: রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে রাজধানীজুড়ে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্বাচন কমিশনের তদারকিতে মাঠে রয়েছে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অর্ধলক্ষাধিক সদস্য। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও গোয়েন্দারা তৎপর রয়েছে।

র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, অনাকাঙ্খিত কাউকে ঢাকায় বরদাশত করা হবে না। আইনশৃঙ্খলা ঝুঁকি তৈরী করতে পারে এমন তথ্য পাওয়া মাত্রই অভিযান চালানো হবে। রাজধানীজুড়ে টহলে রয়েছে র‌্যাব। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ মাঠে রয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সূচনা হলেই পুলিশ তা প্রতিরোধ করবে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপির ৪১ হাজার ৯৫৬ জন। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন করে সদস্য মোতায়েন থাকবে। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত ১২৯টি মোবাইল ফোর্সে রয়েছে ১ হাজার ২৯০ জন। ৪৩টি স্ট্রাইকিং ফোর্সে আছেন ৪৩০ জন, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্সে রয়েছেন ৫২০ জন। দুই সিটিতে র‌্যাবের ১৩০টি টিম রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে আছে একটি করে টিম। এতে গড়ে ১১ জন করে মোট ১ হাজার ৪৩০ জন র‌্যাব সদস্য দায়িত্বে রয়েছে। দুই সিটিতে র‌্যাবের ১০টি রিজার্ভ টিমে ১১০ জন সদস্য তৎপর রয়েছে। রিজার্ভসহ ৭৫ প্লাটুন বিজিবি টহলে রয়েছে। প্রতি প্লাটুনে গড়ে ৩০ জন করে মোট ২ হাজার ২৫০ জন বিজিবি সদস্য আছেন ভোটের দায়িত্বে।

এদিকে ৩০ জানুয়ারি থেকে ভোটের পরদিন ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী অপরাধ দমন ও সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দুই সিটিতে আছেন ১৭২ জন নির্বাহী এবং ৬৪ জন বিচারিক হাকিম। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঢাকার দুই সিটিতে মোট ৬৫ প্লাটুন বিজিবি নামানো হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরে ২৭ প্লাটুন এবং দায়িণে ৩৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ভোটের নিরাপত্তায় দায়িত্বে রয়েছে। রিজার্ভ রয়েছে আরো ১০ প্লাটুন বিজিবি।

এ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, বৃহস্পতিবার থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অর্ধ লক্ষ সদস্য মাঠে থাকছেন। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমদের নেতৃত্বে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, এপিবিএন সদস্যদের মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনী এলাকায় টহলে রয়েছে। পুলিশসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা আছে ভোট কেন্দ্রে।

প্রসঙ্গত, দুই সিটির ২৪৬৮টি ভোট কেন্দ্রের ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকেন্দ্র শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা একটানা ভোট হবে। দুই সিটিতে ভোটের দায়িত্বে থাকবেন অর্ধলক্ষের বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা। দুজন রিটার্নিং অফিসার মোট ৪৩ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে এবারের সিটি নির্বাচন পরিচালনা করবেন। প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২ জন পোলিং অফিসার দায়িত্বে থাকবেন।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও