লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৮ বাংলাদেশি অভিবাসী
২৯ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০১:১৭ এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
লিবিয়া থেকে ১৪৮ জন বাংলাদেশিকে নিরাপদে দেশে ফিরতে সাহায্য করেছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম। তাদের ভলান্টারি হিউম্যানাটেরিয়ান রিটার্ন (ভিএইচআর) কর্মসূচির মাধ্যমে এ সহায়তা করা হয়। ফিরে আসা অভিবাসীদের মধ্যে আছেন যুদ্ধে আহত, সমুদ্র পথে ইউরোপ যেতে ব্যর্থ এবং লিবিয়ার জেলে বন্দি থাকা অভিবাসীরাও।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আইওএমের ভাড়া করা একটি বিশেষ বিমানে তারা দেশে ফেরেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) লিবিয়ার মিসারত বিমানবন্দর থেকে বিমানটি রওয়ানা দেয়।
ফিরে আসা অভিবাসীরা আইওএম লিবিয়া থেকে মনসামাজিক সেবা, তাৎক্ষনিক সেবা, ফিরে আসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং বাংলাদেশ সরকারের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সহায়তা পেয়েছে। ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে আইওএম বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে বাড়ি ফিরতে প্রত্যেকে ৪,৭৩০ টাকা, খাবার, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মানসিক সেবা পেয়েছেন। আগামীতে এই অভিবাসীদের অর্থনৈতিক সহযোগিতাও করবে আইওএম, যাতে তারা বাংলাদেশে আয় করে জীবন চালাতে পারেন।
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের মো. আকবর চার বছর আগে লিবিয়ায় গিয়েছেন পারিবারের ভাগ্য বদলাতে। তিনি বলেন, গ্রামের দালাল ধরে লিবিয়ায় গিয়েছিলাম। বেতন ছিল খুবই কম। কোনমতে নিজে চলতে পারতাম। যে কারখানায় কাজ করতাম হঠাৎ সেখানে বিমান হামলা হয়। ৪ বাংলাদেশিসহ ১৩ জন মারা যান। সে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। মনে হল অল্পের জন্য জীবনটা বাঁচল। সিদ্ধান্ত নিলাম দেশে ফিরে আসব।
এরপর লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস হয়ে আইওএম-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন আকবর। স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বুধবার ১৪৮ জনের সঙ্গে দেশে ফেরেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এ এক বিরাট উপকার। কারণ আইওএম-এর মাধ্যমে জীবন নিয়ে দেশে ফিরতে পেরেছি।’
প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে আটজন শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি আছেন। অসুস্থ ব্যক্তিদের নিবিড়ভাবে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়েছে এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তির জন্য সহায়তা করা হয়েছে।
আইওএম বাংলাদেশের চিফ আব মিশন গিওর্গি গিগাওরি বলেন, লিবিয়ার প্রতিকূল অবস্থা অব্যাহত থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশিদের সুরক্ষা ও সহায়তা দিতে আমরা সর্বদা তৎপর। যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন তাদের তাৎক্ষনিক সব ধরনের সহযোগীতা নিশ্চিত করছি আমরা। একই সঙ্গে ফিরে আসা অভিবাসীদের দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতাও করব।
ইউরোপিয় ইউনিয়নের অর্থায়নে, বাংলাদেশ সরকার ও লিবিয়া কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৪ শরও বেশি বাংলাদেশিদের দেশে ফিরতে সহযোগিতা করছে আইওএম। বিশ্বব্যাপী ভিএইচআর প্রোগ্রামটির সহযোগিতায় ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ও সহায়তা দিয়ে থাকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
বিভাগ : বাংলাদেশ
- কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত পশু মজুদ রয়েছে :প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- পলাশে নারী যাত্রীকে ধর্ষণ: রাইড শেয়ার মোটরসাইকেল চালক গ্রেপ্তার
- মব জাস্টিস অন্ত:বর্তীকালীন সরকারের নাটকীয় খেলা: সেলিমা রহমান
- নরসিংদীতে ৩ আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির উদ্বোধন
- নিরাপত্তা উপদেষ্টাতো বিদেশি নাগরিক, তারা কীভাবে দেশ চালাবে? প্রশ্ন খায়রুল কবির খোকনের
- নরসিংদীতে ‘কাউন্টার ট্রাফিকিং নেটওয়ার্ক’ গঠন ও ওরিয়েন্টেশন সভা
- নরসিংদীতে রেলওয়ের জমি হতে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
- নরসিংদীতে মাসব্যাপী অ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ
- শিবপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর বিতরণ
- আগাছানাশক ওষুধ ছিটিয়ে কৃষকের সবজি ক্ষেত নষ্ট করল দুর্বৃত্তরা
- কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত পশু মজুদ রয়েছে :প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- পলাশে নারী যাত্রীকে ধর্ষণ: রাইড শেয়ার মোটরসাইকেল চালক গ্রেপ্তার
- মব জাস্টিস অন্ত:বর্তীকালীন সরকারের নাটকীয় খেলা: সেলিমা রহমান
- নরসিংদীতে ৩ আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির উদ্বোধন
- নিরাপত্তা উপদেষ্টাতো বিদেশি নাগরিক, তারা কীভাবে দেশ চালাবে? প্রশ্ন খায়রুল কবির খোকনের
- নরসিংদীতে ‘কাউন্টার ট্রাফিকিং নেটওয়ার্ক’ গঠন ও ওরিয়েন্টেশন সভা
- নরসিংদীতে রেলওয়ের জমি হতে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
- নরসিংদীতে মাসব্যাপী অ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ
- শিবপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর বিতরণ
- আগাছানাশক ওষুধ ছিটিয়ে কৃষকের সবজি ক্ষেত নষ্ট করল দুর্বৃত্তরা