বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নিহত, অস্ত্র উদ্ধার
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৫২ পিএম | আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৪:১৫ এএম

টেকনাফ প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ওমর ফারুক হত্যার প্রধান আসামি ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর মোহাম্মদ (৩৪) নিহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৪টি এলজি, ১টি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ভোরে তাকে নিয়ে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়া ২৭ নম্বর ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত নুর মোহাম্মদ জাদিমোরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত কালা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, ওমর ফারুক হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ও আরসা বা আল ইয়াকিনের অন্যতম নেতা নুর মোহাম্মদকে আটক করা হয়। তাকে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, তার গড়ে তোলা নিজস্ব বাহিনীর আস্তানায় বিপুল সংখ্যক অস্ত্র মজুদ রয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা নুর মোহাম্মদকে ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে ওসি তদন্ত, কনস্টেবল রাশেদুল, অন্তর চৌধুরী আহত হলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছু সময় গুলি বিনিময় হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে নুর মোহাম্মদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী নুর মোহাম্মদ নিহত হন। তার বিরুদ্ধে সরকারি অস্ত্র লুট, হত্যা ও ইয়াবার মামলা রয়েছে। সম্প্রতি ২২ আগস্ট স্থানীয় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যার প্রধান আসামি সে। ওইদিন থেকে তাকে পুলিশ খুঁজছিল। তার মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কে এই নুর মোহাম্মদ:
১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদ হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জাদিমুরা এলাকায় প্রথমে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। ধীরে ধীরে সেখানেই জমি কিনে বাড়ির মালিক হন। প্রতিটি ক্যাম্পে স্ত্রী থাকায় তার আধিপত্য বিস্তারের সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তার মোট ৪টি স্ত্রী রয়েছে। রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদের মালিকানায় বাংলাদেশে ৪টি বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি পাকা ভবন, একটি দু’তলা, একটি টিনের ঘর এবং অপরটি বাগান বাড়ি।
জানা গেছে, কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশনের ঠিকানায় বাংলাদেশি স্মার্টকার্ড তৈরি করেছেন। কার্ডে নাম দিয়েছেন নুর আলম। বাবার নাম কালা মিয়া এবং মাতার নাম সরু বেগম। জন্ম তারিখ ২৫ নভেম্বর ১৯৮৩ ইংরেজি। এনআইডি নম্বর-৬০০৪৫৮৯৯৬৩। তার স্থায়ী ঠিকানা হচ্ছে পশ্চিম ষোলশহর পার্ট-২, হিলভিউ রোড, ৪২১১ পাচঁলাইশ, চট্টগ্রাম।
তার আইডি কার্ড হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষুব্ধ সচেতন মহল।
বিভাগ : বাংলাদেশ
- রায়পুরায় বাড়ি হতে ৫টি একনলা বন্দুক, ১৮টি ককটেল ও গুলি উদ্ধার
- নরসিংদীতে চিত্রাংকন,রচনা প্রতিযোগিতা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী
- আগামী সংসদে জাতীয় নাগরিক পার্টির জয়জয়কার হবে: নাহিদ ইসলাম
- শিবপুর পৌরসভার ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা
- রায়পুরায় মাদক সেবন নিয়ে বিরোধে ছুরিকাঘাত, প্রাণ গেল যুবকের
- রায়পুরায় সাঁড়াশি অভিযানে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার, দুই নারী গ্রেপ্তার
- হত্যা মামলায় কারাগারে মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিক
- শিবপুরে ডোবার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন খান হত্যা: আসামী মহসিন দুবাই থেকে গ্রেপ্তার
- চরাঞ্চলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র গুলি জব্দ, সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার
- রায়পুরায় বাড়ি হতে ৫টি একনলা বন্দুক, ১৮টি ককটেল ও গুলি উদ্ধার
- নরসিংদীতে চিত্রাংকন,রচনা প্রতিযোগিতা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী
- আগামী সংসদে জাতীয় নাগরিক পার্টির জয়জয়কার হবে: নাহিদ ইসলাম
- শিবপুর পৌরসভার ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা
- রায়পুরায় মাদক সেবন নিয়ে বিরোধে ছুরিকাঘাত, প্রাণ গেল যুবকের
- রায়পুরায় সাঁড়াশি অভিযানে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার, দুই নারী গ্রেপ্তার
- হত্যা মামলায় কারাগারে মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিক
- শিবপুরে ডোবার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন খান হত্যা: আসামী মহসিন দুবাই থেকে গ্রেপ্তার
- চরাঞ্চলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র গুলি জব্দ, সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার