বিপদ সীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে দেশের ৯ নদ-নদীর পানি

১৩ জুলাই ২০১৯, ১০:৩৪ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ এএম


বিপদ সীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে দেশের ৯ নদ-নদীর পানি

টাইমস ডেস্ক:

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে দেশের ১০ জেলার ৯টি নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, শেরপুর, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানে দেখা দিয়েছে বন্যা। পানিবন্দি অর্ধলাখেরও বেশি মানুষ।  

তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে ৫৪ ও দোয়ানী পয়েন্টে বিপদ সীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এতে লালমনিরহাট ও নীলফামারীর প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। এসব এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন। 

কুড়িগ্রামে তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপূত্রের পানি বইছে বিপৎসীমার উপর দিয়ে। বন্যা কবলিত হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, মাছের ঘের, শাক সবজিসহ আমন বীজতলা। তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বেড়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার নিচু এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে।

নেত্রকোণার সোমেশ্বরী, কংস, ভোগাই, ধনুসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। কলমাকান্দা ও দূর্গাপুরের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। শেরপুরের ঝিনাইগাতীর পাঁচটি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে ১০ হাজার পরিবার। এসব এলাকার বেশিরভাগ স্থানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট। উঠেছে পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ।

সুনামগঞ্জের বন্যার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ৫০টি গ্রামের মানুষ এখনো পানিবন্দি। নতুন করে পানি ঢুকছে জেলা শহরে। 

বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রয়েছে পাহাড় ধসের আশঙ্কা। রাঙামাটির মানিকছড়িতে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে ভারি যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সড়ক বিভাগ। একই সাথে পর্যটকদের সাজেকে ভ্রমণে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সাজেক কটেজ মালিক সমিতি।

এদিকে, দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে সর্তক অবস্থানে প্রশাসন।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও