হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত

০৭ জুন ২০২১, ০৬:২৪ পিএম | আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৫৬ এএম


হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমীর ও আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিব নির্বাচিত করে কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ৩৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

নতুন কমিটিতে প্রয়াত আমীর শাহ আহমদ শফীর বড় ছেলে মোঃ ইউসুফকে সহকারী মহাসচিব করা হয়েছে। তবে বাদ পড়েছেন বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ অনেকে। সোমবার (৭ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা দেন বর্তমান মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী।

হেফাজতের ৩৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নায়েবে আমির হিসেবে রাখা হয়েছে নয়জনকে। তারা হলেন- মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা মুহিব্বুল হক (সিলেট) ও মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুবসহ (বরিশাল), মাওলানা আবদুল হক (ময়মনসিংহ), মাওলানা ইয়াহইয়া (হাটহাজারী মাদরাসা), মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস (ফরিদাবাদ মাদরাসা), মাওলানা তাজুল ইসলাম ও মাওলানা মুফতী জসিমুদ্দীন (হাটহাজারী মাদরাসা)।

যুগ্ম মহাসচিব পাঁচ জন হলেন- মাওলানা সাজেদুর রহমান (বি-বাড়িয়া), মাওলানা আবদুল আউয়াল (নারায়নগঞ্জ), মাওলানা লোকমান হাকীম (চট্টগ্রাম), মাওলানা আনোয়ারুল করীম (যশোর) ও মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী।

সহকারী মহাসচিব হিসেবে আছেন মাওলানা জহুরুল ইসলাম ও মাওলানা ইউসুফ মাদানী। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মাওলানা মীর ইদ্রিস (চট্টগ্রাম), অর্থ সম্পাদক হিসেবে মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ আলী (মেখল) ও সহ-অর্থ সম্পাদক হিসেবে আছেন মাওলানা মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমী (নাজিরহাট)।

প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানীকে (সাভার) এবং সহ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে মাওলানা জামাল উদ্দীনকে (কুড়িগ্রাম)। দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে আছেন মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সোবহানী (উত্তরা) এবং সহকারী দাওয়া হিসেবে আছেন মাওলানা ওরম ফারুক (নোয়াখালী)।

এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে নয়জনকে। তারা হলেন- মাওলানা মোবারাকুল্লাহ (বি.বাড়িয়া), মাওলানা ফয়জুল্লাহ (মাদানীনগর), মাওলানা ফোরকানুল্লাহ খলিল (চট্টগ্রাম), মাওলানা মোশতাক আহমদ (খুলনা), মাওলানা রশিদ আহমদ (কিশোরগঞ্জ), মাওলানা আনাস (ভোলা), মাওলানা মাহমুদুল হাসান (ফতেহপুরী) এবং মাওলানা মাহমুদুল আলম (পঞ্চগড়)।

কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন- সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, নাছির উদ্দিন মুনির, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় নেতা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, হাসান জামিল, মুফতি হারুন ইজহারসহ বিতর্কে জড়িয়ে পড়া নেতারা। একইভাবে আল্লামা আহমদ শফীর হত্যা মামলার অভিযুক্ত নেতাদেরও বাদ দেয়া হয়েছে।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট হেফাজতের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে গত ২৫, ২৬ ও ২৭ মার্চ হেফাজতের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৭ জনের প্রাণহানি হয়। এরপর গত ২৫ এপ্রিল হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। বিলুপ্ত কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরীকেই এই কমিটির প্রধান করা হয়। আগের কমিটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম জেহাদীকে আহ্বায়ক কমিটির মহাসচিব আর সিনিয়র নায়েবে আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে করা হয় প্রধান উপদেষ্টা। সদস্য করা হয়েছে আল্লামা সালাহউদ্দীন নানুপুরী ও মিজানুর রহমানকে (পীরসাহেব দেওনা)।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও