বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ
০৯ এপ্রিল ২০২০, ০৪:২৯ পিএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ এর প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কারাবন্দি মাজেদ বুধবার (৮ এপ্রিল) প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল। বঙ্গভবনের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাণভিক্ষার আবেদন পৌঁছানোর পর তা খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপ্রধান।
এর আগে আব্দুল মাজেদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী আজ এ আদেশ দেন।
এডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল গণমাধ্যমকে বলেন, ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে ফাঁসির এ রায় কার্যকর হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে ফাঁসির রায় মাথায় নিয়ে পলাতক অন্যতম আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে খুনি মাজেদকে তোলা হলে বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াৎ এই দন্ডিত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ আদেশের পরপরই তাকে প্রিজন ভ্যানে করে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। তাকে ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারায় তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। এসময় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার না দেখানো পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন কাউন্টার টেরোরিজম।
আবেদনে বলা হয়, আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামি। সে দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার না দেখানো পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার ৪৫ বছর, নৃশংস ওই হত্যাকান্ডের মামলার ২৫ বছর এবং উচ্চ আদালতের রায়ে ৫ আসামির ফাঁসি কার্যকরের ১১ বছর পর গ্রেপ্তার হলেন খুনি মাজেদ। সোমবার রাতে খুনি মাজেদকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া ও গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রায় ২৩ বছর খুনি মাজেদ ভারতে পালিয়ে ছিলেন বলে স্বীকার করেন। খুনি মাজেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি পলাতক রয়েছেন। তাঁরা হলেন- খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী ও এ এম রাশেদ চৌধুরী। তাঁরা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা। এই পাঁচ খুনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক অবস্থায় আছেন। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইন হিসেবে অনুমোদন করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম বর্বরোচিত ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তখন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
বিভাগ : বাংলাদেশ
- শিবপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর নিহত
- উপজেলা নির্বাচনে যে কেউ প্রভাব বিস্তার করবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে: নরসিংদীতে ইসি মোঃ আলমগীর
- নিলক্ষায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১০
- রায়পুরায় বজ্রপাতে একজন নিহত
- উপজেলা নির্বাচন: নরসিংদী ও পলাশ উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন যারা
- আমদিয়ায় ইউপি মেম্বারকে প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
- নরসিংদীতে ৬ শত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ
- নরসিংদী প্রেসক্লাবে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- নরসিংদীর ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে পারেন এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়রা
- পথশিশুদের হাত রাঙিয়েছে স্বেচ্ছাসেবীরা
- শিবপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর নিহত
- উপজেলা নির্বাচনে যে কেউ প্রভাব বিস্তার করবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে: নরসিংদীতে ইসি মোঃ আলমগীর
- নিলক্ষায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১০
- রায়পুরায় বজ্রপাতে একজন নিহত
- উপজেলা নির্বাচন: নরসিংদী ও পলাশ উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন যারা
- আমদিয়ায় ইউপি মেম্বারকে প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
- নরসিংদীতে ৬ শত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ
- নরসিংদী প্রেসক্লাবে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- নরসিংদীর ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে পারেন এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়রা
- পথশিশুদের হাত রাঙিয়েছে স্বেচ্ছাসেবীরা