আসন্ন শীতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রধানমন্ত্রীর

২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৭:০৪ পিএম | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২২ এএম


আসন্ন শীতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রধানমন্ত্রীর
বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন শীতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, সামনে শীত, করোনা পরিস্থিতি আরেকটু হয়তো খারাপের দিকে যেতে পারে। এজন্য আমাদের এখন থেকে প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান গ্রহণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এই অনুদান গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। সবাই কাজ করেছে, আমি কাউকে বাদ দিতে পারবো না। সেজন্য হয়তো আমরা এটা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।

ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের যেকোনও সময় একটা কিছু হলেই কোনও দুর্যোগ, দুর্বিপাক যা কিছু হোক, এমনকি মুজিববর্ষে আপনারা এগিয়ে এসেছেন। নিজেরা এগিয়ে এসেছেন তাই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

সরকার প্রধান বলেন, প্রাইভেট ব্যাংকটা দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমরাই নিয়েছিলাম, আমরা দিয়েছি সব থেকে বেশি। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মানুষ যাতে ব্যাংকিং ব্যবহারে অভ্যস্ত হয় তার ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি। এমনকি কৃষকদের ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। অর্থাৎ মানুষকে অভ্যস্ত করা, যাতে ব্যাংকের মাধ্যমে তারা যেন তাদের আর্থিক লেনদেন করতে পারে, সেই পদক্ষেপও আমরা নিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা যত বেশি প্রাইভেট ব্যাংক দিয়েছি, এতে ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান হয়েছে। অনেক মানুষের চাকরি হয়েছে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। আর আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যও সম্প্রসারিত হয়েছে। সেখানে ব্যাংকগুলো যাতে ভালোভাবে চলে আমরা সেটাই চাই। সেক্ষেত্রে ব্যাংকের আইন বা যা কিছুই আমরা করি।

ব্যাংক সেক্টর নিয়ে বিএবি চেয়ারম্যানের দাবিগুলো বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা যখন যে দাবি আনেন, যেটা যুক্তিসঙ্গত সেটা আমরা সবসময়ই বিবেচনা করি। বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল সাহেব যে কথাগুলো বলেছেন আমি সেটা দেখবো। যদি সেখানে সমস্যা থাকে তবে সেখানে যাতে সমস্যা না হয় তা আমরা অবশ্যই বিবেচনা করবো। আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে ব্যাংকটা যেন ভালোভাবে চলে সেদিকে আপনারা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন।

তিনি বলেন, কিছু কিছু ব্যাংক আছে অতি দুর্বল হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে অনেক সময় মার্জ করাতে হয়। সেটা অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে কোনটা ঠিকমতো চলছে। কোনটা ঠিকমতো চালাতে পারছে কিনা? সেগুলো বিবেচনা করেই করা হবে। অবিবেচনা করে কিছুই করা হবে না এইটুকু ভরসা রাখবেন। আপনাদের এই অনুদান সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজে লাগবে। সেই জন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে এই করোনাভাইরাসের কারণে। দেশটা যাতে এই করোনাভাইরাসের এই মহামারি থেকে মুক্তি পায়। সারাবিশ্বই যাতে মুক্তি পায়। সেই কামনা করি।

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস এর ৩৪টি ব্যাংক, ফরেইন অফিসার্স স্পাউজ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট, মিনিস্টার গ্রুপ, খাদ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও