২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

০৯ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:৩১ পিএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৬ এএম


২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আগামী ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ নিয়ে কারো যদি তদন্তাধীন কোনো বিষয় থাকে তাহলে সেগুলো বাদ থাকবে। পরবর্তীকালে তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হলে তালিকায় নাম যুক্ত হবে। শনিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর কালাকৈর এলাকায় সামিট গ্রুপের অর্থায়নে ৩৮নং কালাকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত তিনতলা ভবন উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করে ৩০ দিন সময় দেয়া হবে। এ বিষয়ে কারও আপত্তি আছে কি-না তা দেখা হবে। আপত্তি না থাকলে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে খসড়া চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবো। আর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৬ মার্চ।

তিনি আরও বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালাকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। সেটিকে সামিটের অর্থায়নে তিনতলা ভবন করা হয়েছে। আমরা এখন এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় উন্নীত করবো। সামিটের মতো অন্যদেরও এলাকাবাসীর উন্নয়নে কাজ করা উচিত।

নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর খোরশেদ আলম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সামিট গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান লতিফ খান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারজানা আক্তার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সামিট গাজীপুর-২ পাওয়ার এবং এইস অ্যালায়েন্স পাওয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, সামিট গ্রুপের অর্থায়ন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে শূন্য দশমিক ৮ একর জমির উপর নতুন তিনতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে আগে ৩০৪ বর্গফুটের চারটি শ্রেণিকক্ষ ছিল। এখন ৫৪০ বর্গফুটের দশটি শ্রেণিকক্ষ করা হয়েছে।

সায়েন্স ল্যাব ও কম্পিউটার ল্যাবের জন্য নির্ধারিত কক্ষ করা হয়েছে। একটি গ্রন্থাগার করা হয়েছে। স্কুলে অভিভাবকদের জন্য বিশ্রামাগার, শিক্ষকদের কক্ষ দুটি, একটি সভাকক্ষসহ পুরো স্কুলে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।

উল্লেখ, সামিট বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতে দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদানকারী। দেশের হসপিটালিটি শিল্প, ফাইবার অপটিক্স, টেলিকমিউনিকেশন টাওয়ার, হাইটেক পার্ক, বন্ধর ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন খাতে সামিট ব্যবসা পরিচালনা করে।


বিভাগ : বাংলাদেশ