বিস্ফোরণের ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত করা প্রয়োজন: মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান

০৮ মার্চ ২০২৩, ০৩:১৩ পিএম | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম


বিস্ফোরণের ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত করা প্রয়োজন: মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর গুলিস্তানের বিস্ফোরণের ঘটনাটি নাশকতা কি না তা সঠিকভাবে তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে একথা বলেন তিনি।

ঢাকায় বারবার কেনো একই ধরনের ঘটনা ঘটছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কমিশনের চেয়ারম্যান এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান তিনি।

এদিকে, দুপুরে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, অনুসন্ধান শেষেই গুলিস্তানে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ জানা যাবে। যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে বিধ্বস্ত ভবনের নিচে উদ্ধার কাজ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ার বিস্ফোরণস্থলে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধার কাজ। সকাল থেকে একযোগে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস ও রাউজক।

বিস্ফোরণ তদন্তে এরইমধ্যে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। কমিটিকে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

এদিকে, বিস্ফোরণস্থলে থাকা অনিকা এন্টাপ্রাইজের মালিক মোমিনউদ্দিন সুমন দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি স্বজনদের।


তারা জানান, নিখোঁজ সুমনের স্যানিটারি সামগ্রীর দোকান ছিলো, দুর্ঘটনার সময় দোকানেই থাকার কথা তার। এদিকে ক্যাফে কুইনের পাশাপাশি পাশের সিদ্দীকিয়া মার্কেটের নিচতলাতেও চলছে অভিযান।

কাজ করছে র‍্যাবের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াডও। উদ্ধার কাজ চলায় সড়কের একপাশে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

ফুলবাড়িয়ায় বিস্ফোরণে দগ্ধ ২০ জন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন। এরমধ্যে একজন আইসিইউতে রয়েছেন। এছাড়া ১০ জন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ২ জন রয়েছেন লাইফ সাপোর্টে।

বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি সবাই এবং ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে থাকা ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে।

এদিকে, এখনও ৩ জনের নিখোঁজ থাকার তথ্য দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। জ্যেষ্ঠ সহকারি কমিশনার সুবীর কুমার দাশ জানান, নিখোঁজদের মধ্যে দুজন দোকান কর্মচারী এবং একজন পথচারী। বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুজনের মরদেহ আগেই নিয়ে গেছেন স্বজনেরা।

এদিকে, দাফনের জন্য নিহতদের পরিবার-প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও