গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনে প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়
১৮ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৪৮ পিএম | আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম

{ রবিউল আলম }
বলা হয়ে থাকে ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড’। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মূলভিত্তি প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা পরবর্তী সকল স্তরের ভিত সৃষ্টি করে বলে গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি অংশে ১৭ নং অনুচ্ছেদে গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মর্মে উল্লেখ রয়েছে। সে লক্ষ্যে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর আত্মজা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাকেই সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব প্রদান করেছেন । ফলে বাংলাদেশ এসডিজি-৪ এ প্রতিশ্রুত গুণগত শিক্ষা অর্জনে সফল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনে এখনো কিছু প্রতিবন্ধকতা বিরাজমানঃ (১) দরিদ্রতা (২) প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে অভিভাবকদের অসচেতনতা (৩) কতিপয় শিক্ষকের শিক্ষার্থী বান্ধব মনোভাব ও আন্তরিকতার ঘাটতি (৪) দক্ষশিক্ষকের স্বল্পতা (৫) বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত জরাজীর্ণতা (৬) চাহিদার তুলনায় শিক্ষক সংখ্যার অপর্যাপ্ততা (৭) বিদ্যালয়ের নিজস্ব ভূমির অপ্রতুলতা এবং ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা (৮) বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাথে শিক্ষকদের মতানৈক্য (৯) শিক্ষা অফিসে জনবলের ঘাটতি।
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে নিম্নোক্ত সুপারিশসমূহ বিবেচনা করা যেতে পারেঃ (১) প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি (২) শিক্ষার্থীদের জন্য পুষ্টিকর মিডডেমিল এর ব্যবস্থা (৩) নিয়মিত অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন (৪) চাহিদাভিত্তিক প্রশিক্ষণের আয়োজন এবং প্রশিক্ষণ পরবর্তী অগ্রগতি মূল্যায়ন (৫) বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন খাতে পর্যাপ্ত অর্থবরাদ্দ (৬) শিক্ষার্থী শিক্ষক অনুপাতে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ (৭) ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি গঠন এবং কমিটি কর্তৃক বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রণয়ন (৮) বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে স্বীকৃত শিক্ষানুরাগীদের অন্তর্ভুক্তকরণ (৯) শিক্ষা অফিসের শূন্যপদ পূরণে উদ্যোগ গ্রহণ। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের ৪টি স্তম্ভের অন্যতম একটি স্তম্ভ ‘স্মার্টসিটিজেন’।
প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করলে আজকের শিশু আগামির স্মার্টসিটিজেন হয়ে গড়ে উঠবে। গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনে তাই সরকার, স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সকল অংশীজনের সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন।
লেখক: রবিউল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পলাশ, নরসিংদী।
বিভাগ : মতামত
- নিখোঁজের ২০ দিন পর অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার, দুইজন গ্রেপ্তার
- মাধবদীতে ৬০ কেজি গাঁজাসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার
- নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস এ এবারও শতভাগ জিপিএসহ শতভাগ পাস
- আলোকবালীর বিএনপি নেতা কাইয়ুম সরকার বহিষ্কার
- জেলা প্রশাসন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ফল উৎসব
- পলাশে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারের পর যুবদল নেতা বহিষ্কার
- মাধবদী বাজারে আগুনে পুড়ল ৪০ দোকান
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা সভা
- আমিরগঞ্জ ইউপি কার্যালয়ে যুবকের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত
- নরসিংদীতে জুলাই-আগস্টের শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠান
- নিখোঁজের ২০ দিন পর অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার, দুইজন গ্রেপ্তার
- মাধবদীতে ৬০ কেজি গাঁজাসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার
- নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস এ এবারও শতভাগ জিপিএসহ শতভাগ পাস
- আলোকবালীর বিএনপি নেতা কাইয়ুম সরকার বহিষ্কার
- জেলা প্রশাসন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ফল উৎসব
- পলাশে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারের পর যুবদল নেতা বহিষ্কার
- মাধবদী বাজারে আগুনে পুড়ল ৪০ দোকান
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা সভা
- আমিরগঞ্জ ইউপি কার্যালয়ে যুবকের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত
- নরসিংদীতে জুলাই-আগস্টের শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠান