শিবপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কমিটির দ্বন্দ্ব: প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে তালা

০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:১৪ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৬ পিএম


শিবপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কমিটির দ্বন্দ্ব: প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে তালা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শিবপুর উপজেলার খৈনকুট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রধান শিক্ষক ফাসাদ মিয়াকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে অফিস কক্ষে তালা দিয়ে স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান খৈনকুটি।

প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে তালা দেয়ায় বিক্ষোভ করেছেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে তালা দেয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান ফরাজি, লুতফা বেগম, ইউপি সদস্য কুদ্দুস আলী, স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক মোজাম্মেল হক, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য আবুল কালাম প্রধান , হকচাঁন ফরাজি উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেন, অভিভাবক মো: হানিফ, শাহাদাত হোসেন খোকন, তাহের ফরাজি, কামরুজ্জামান ফরাজি,  ডা: সেলিম প্রধান, শফিকুল ইসলাম, রবি ফরাজি, রশিদ ফরাজি সহ সকল শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান শিক্ষক মোঃ ফাসাদ মিয়া ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে তালা দেয়া এবং বিভিন্ন অভিযোগ এনে শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।  

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের জমি কেনার জন্য বিদ্যালয়ের ফান্ড ও শিক্ষকদের বেতনের টাকা হতে রেজুলেশনের মাধ্যমে সাড়ে ৮ লাখ টাকা নেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান। পরে ওই টাকায় কেনা জমি বিদ্যালয়ের নামে রেজিস্ট্রি না করে তিনি নিজ নামে রেজিস্ট্রি করেন। বর্তমানে এই জমির উপর বিদ্যালয়ের একটি চারতলা ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে।

জমির দলিল রেজিস্ট্রি বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি মজিবুর রহমান বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে বিদ্যালয় হতে রেজুলেশন খাতা, নোটিশ খাতা, ক্যাশ খাতা, একাউন্ট এর চেক বই নিয়ে যান এবং প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন।    

এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান খৈনকুটির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি পরিচালনা কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রধান শিক্ষক মোঃ ফাসাদ মিয়াকে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের পদ হতে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোক্তার হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং এসএসসি পরিক্ষায় দায়িত্ব পালন করার কারণে পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।



এই বিভাগের আরও