দ্বিতীয় ফলাফলে প্রাথমিকের বৃত্তি না পাওয়ায় শিবপুরে ক্ষোভ

০২ মার্চ ২০২৩, ০২:১৪ পিএম | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ এএম


দ্বিতীয় ফলাফলে প্রাথমিকের বৃত্তি না পাওয়ায় শিবপুরে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২ এর প্রথম ফলাফলে অনেক শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুল কিংবা সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছিল। দ্বিতীয় ফলাফলে অনেক শিক্ষার্থী বাদ পড়ে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা, মন খারাপ হয়ে গেছে বৃত্তি পেয়েও বাদ পড়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।


গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। ফল প্রকাশের ঘন্টাখানেক পরই ফলাফলে কারিগরি ত্রুটি হয়েছে জানিয়ে ফলাফল স্থগিত করা হয়। পরে বুধবার (১ মার্চ) পূণরায় ফলাফল প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয়বার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় ব্যাপক পরিবর্তন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথম ফলাফলে যারা বৃত্তি পেয়েছে, দ্বিতীয় ফলাফলে তাদের বেশীরভাগ শিক্ষার্থী বাদ পড়েছে (রোল নেই)। আবার প্রথম ফলাফলে বৃত্তি পায়নি এমন অনেকে পেয়েছে।

উপজেলার ৯২ নং কারারচর মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রথম ফলাফলে ৪ জন বৃত্তি পায়। যার মধ্যে দুইজন আপন মিয়া ও নিলয় চন্দ্র ধর ট্যালেন্টপুল এবং অপর দুইজন অংকিতা রাণী ও মিরাজ সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি লাভ করে। দ্বিতীয় ফলাফলে তারা সবাই বাদ পড়ে।
৯১ নং কে কে মহল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রথম তালিকায় ৬ জন বৃত্তি পেলেও, কিন্তু দ্বিতীয় তালিকায় তাদের কারও রোল নেই, সকলেই বাদ পড়ে। ৬৯ নং যোশর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে হামিম মিয়া প্রথম তালিকায় ট্যালেন্টপুল বৃত্তি লাভ করে, কিন্তু দ্বিতীয় তালিকায় সে বাদ পড়ে। এমন আরও বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এরকম ফলাফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। অভিভাবকরা বলেন, প্রাথমিক বৃত্তির নামে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারনা ও তামাশা করা হয়েছে। এই ফলাফলে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের উপরে নয়, মুখ দেখে ফলাফল দেওয়া হয়েছে। তারা এই বিতর্কিত ফলাফল প্রত্যাখান চান। এসব কারণে বৃত্তি বঞ্চিত স্কুলের শিক্ষকরাও অভিভাবকদের তোপের মুখে পড়েছেন।

এ ব্যাপারে শিবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোঃ রুহুল ছগির বলেন, ফলাফলের উপর আমাদের কোন হাত নেই। আমরা পরীক্ষা নেওয়ার পর জেলা অফিসে খাতা পাঠিয়েছি। জেলা থেকে খাতা মূল্যায়ন করে অধিদপ্তরে পাঠানা হয়ে থাকে। এরপর অধিদপ্তর ফলাফল প্রকাশ করে।

দুই রকম ফলাফল সম্পর্কে জানার জন্য নরসিংদী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: বায়েজিদ খানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত এর মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনিও রিসিভ করেননি।



এই বিভাগের আরও