রায়পুরায় নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:৩০ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ এএম


রায়পুরায় নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

হারুন অর রশিদ:

নরসিংদীর রায়পুরায় মুক্তিযোদ্ধা তায়েব উদ্দিন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মহেষপুর ইউনিয়নের আলগী এলাকায় বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠান করা হয়৷

রায়পুরা উপজেলায় জন্ম নেয়া বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ এর পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা তায়েব উদ্দিন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আজগর হোসেন, রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:  আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য রিয়াদ আহমেদ সরকার, চিত্রশিল্পীর মেয়ে চিত্র ও জামাতা সমুদ্র, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমান উদ্দিন ভূইয়া, মরজাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সানজিদা সুলতানা নাসিমা, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার বিশ্বাস, হুমায়ুন কবির প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ফুলদিয়ে বরণ করে নেন। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত নাচ, গান উপভোগ করেন অতিথিসহ স্থানীয়রা।

এসময় চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, " বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাবাসহ ৫ ভাই যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি। আমি আজ এত বড় হয়েছি, এমনিতেই হইনি স্বাধীনতা যুদ্ধসহ সকল কিছুতেই কঠিন যুদ্ধ করে বড় হতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদেরকে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠতে হতে। রায়পুরায় নামি-দামি কবি, সাহিত্যিক রাজনৈতিক জ্ঞানী গুণী ব্যক্তির জন্ম হয়েছে। উর্বর জমি চাষাবাদেই ফলবে সোনা। কঠিন যুদ্ধ করে তোমাদের বড় হতে হবে।"

 

উলেখ্য, চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন ১৯৫০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আলগী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে ২ নম্বর সেক্টরের অধীনে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য স্থানে সম্মুখ ও গেরিলা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। চিত্রকর্মে অসামান্য অবদানের জন্য দেশ-বিদেশের অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন শাহাবুদ্দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এই দুই অনুষঙ্গই তাঁর চিত্রকর্মের প্রধান উপাদান। ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে ‘প্রেসিডেন্ট স্বর্ণ পদক’, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী হিসেবে ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক’, ১৯৭৫ ও ১৯৮১ সালে ফ্রান্সের ‘সেলোন দো প্রিন্টক্যাম্প স্বর্ণ পদক’, ২০০০ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ অর্জন করেন চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। ১৯৭৪ সালে কীর্তিমান এই শিল্পীকে নাগরিকত্ব দেয় ফ্রান্স। এর পর থেকে পরিবারসহ ফ্রান্সে বসবাস করে আসছেন তিনি।



এই বিভাগের আরও