ঘোড়াশালে দুর্ভোগ লাঘবে বর্জ্যব্যবস্থাপনায় গুরুত্বারোপ করছেন মেয়র

১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:০৬ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ পিএম


ঘোড়াশালে দুর্ভোগ লাঘবে বর্জ্যব্যবস্থাপনায় গুরুত্বারোপ করছেন মেয়র

আল-আমিন মিয়া:
কিছু দিন আগেও নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর শহরের পাড়া-মহল্লার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। সেগুলোর সিংহভাগই গৃহস্থালি ও হোটেল-রেস্তোরাঁর পচনশীল বর্জ্য পদার্থ। সড়কের মোড়ে মোড়ে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে-পেছনে, বাজারসংলগ্ন জায়গায়, এমনকি লোকজনের বাসাবাড়ির সামনেও দিনের পর দিন সেসব বর্জ্য পড়ে থাকতো। কোনো কোনো বাড়ির সামনে বর্জ্যরে স্তূপ পড়ে ছিল কয়েক বছর ধরে। উৎকট দুর্গন্ধে বাতাস ভারী হয়েছিল। মশা-মাছিসহ নানা রকমের পোকামাকড়ের অবাধ বংশবিস্তার হচ্ছিল এসব জায়গায়।


পৌর নাগরিকদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, দুর্গন্ধময় পচা আবর্জনায় ভরা রাস্তাঘাটে চলতে গিয়ে তাঁদের বমি আসে। এমনকি আবর্জনার দুর্গন্ধে বাসাবাড়িতে থাকাও তাঁদের জন্য কষ্টকর হয়ে উঠেছিল। শহরটির বাসিন্দারা অনেকবার লিখিতভাবে ও মৌখিকভাবে তাঁদের এই দুর্ভোগের কথা পৌরসভার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। বিশেষ করে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরের আবাসিক এলাকায় গৃহস্থালীয় বর্জ্যরে চলাচলে অনুপযোগী হয়েছিল।

এসব অভিযোগ মাথায় রেখে ঘোড়াশাল পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কীভাবে পৌর শহরের ময়লা-আবর্জনা নিষ্কাশন করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে ঘোড়াশাল পৌসভার বিভিন্ন আনাচেকানাচের ময়লা আবর্জনা নিষ্কাশনে প্রায় প্রতিদিনই পৌর শহরের এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে ছুটছেন এই মেয়র। শহরের যেখানে ময়লা আবর্জনা দেখছেন, সেখানেই তাৎক্ষণিক দাঁড়িয়ে থেকে তা নিষ্কাশন করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি ময়লা পানি নিষ্কাশনের পরিত্যক্ত ড্রেনগুলো সচল করারও উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।


পৌর শহরটির ময়লা-আবর্জনার নিরাপদ ব্যবস্থাপনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে মেয়র তুষার বলেন, মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অনিবার্য অনুষঙ্গ হিসেবে প্রতিদিন উৎপাদিত হচ্ছে নতুন নতুন বর্জ্য। এসব বর্জ্য রাস্তাঘাটে ফেলে যেনো নতুন করে ময়লার স্তূপ বড় না করে, সেজন্য পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডের মেইন মেইন পয়েন্টে ঢাকনা সিস্টেম ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শহরের ময়লা পানি নিষ্কাশনের জন্য যেই ড্রেনগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল, সেগুলো দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণার অভাবে ময়লা আবর্জনায় অকেজো হয়েছিল, সেগুল সচল করার কাজ শুরু করেছি।