নরসিংদী সহ নিয়মিত রেলযাত্রীদের ভোগান্তি থেকে  উত্তরণের দাবি

১৬ মে ২০১৯, ০২:৪৮ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৯ এএম


নরসিংদী সহ নিয়মিত রেলযাত্রীদের ভোগান্তি থেকে  উত্তরণের দাবি
Narsingdi_Train

অনলাইন ডেস্ক


যানজটের এই শহর ঢাকাতে অফিস গামী যাত্রীদের যাতায়াতের জনপ্রিয় মাধ্যম হলো রেলপথ।এখন নরসিংদী ,গাজীপুর ,টঙ্গী উত্তরা হইতে বনানী ,মতিঝিল ,নারায়ণগঞ্জ গামী অধিকাংশ যাত্রীর যাতায়াতের জনপ্রিয় মাধ্যম হলো রেলপথ।

গাজীপুর থেকে সকাল বেলা সড়ক পথে মতিঝিল বা নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত সময় লাগে ৪-৫ ঘন্টা। যেখানে রেলপথে সময় লাগে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ! রেল পথে যাতায়াতের ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি যাত্রীরা পাচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে মুক্তি। এই সকল সুবিধার দরুণ রেলপথের যাতায়তের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। জনপ্রিয়তার পাশাপাশি বেড়ে চলেছে যাত্রী সংখ্যাও কিন্তু সেই অনুপাতে বেড়ে চলেছে ট্রেন সংকট। যা বর্তমান রেলযাত্রীদের ভোগান্তির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের এই ভোগান্তির থেকে উত্তরণের কিছু উপায় নিয়মিত যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যাই তা হলো :

১. ৩৩ তিতাসের বনানী স্টপেজ ১ মিনিটের বিরতি পুনর্বহাল করা এবং নতুন করে ৩৬ তিতাসের জন্য বনানীতে ১ মিনিটের বিরতি দেয়া।
২. নরসিংদীকে উদ্দেশ্য করে কমিউটার ট্রেন চালু করা। এক্ষেত্রে সকালে ঢাকায় আসা সকালের ঢাকা মেইল (চট্টগ্রাম মেইল), সুরমা মেইল (সিলেট মেইল), গভীর রাতে আসা নোয়াখালী এক্সপ্রেস (ঢাকা এক্সপ্রেস) ট্রেনগুলোকে ঢাকা-ভৈরব-ঢাকা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলাচলের জন্য কমিউটার করা হোক। এতে ট্রেনের সর্বোচ্চ ব্যাবহার হবে এবং বাড়তি ট্রেনের দরকার হবেনা। এই তিনটি ট্রেন রাতে বা সকালে এসে সারাদিন ঘুমানোর পরে আবার রাতে যাত্রা শুরু করে, সুতরাং এগুলোর ব্যাবহার নরসিংদীর পরিবহন বিপত্তি সমাধানে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
৩. সকল আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ বহাল রাখা। কেননা নরসিংদী একটি রেল সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ জেলা, এখান থেকে বহু লোক ট্রেনে প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় শহর ও জেলা সিলেট, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, কুমিল্লা, বি.বাড়িয়ায় যাওয়া আসা করে।
৪. টিকেটিংয়ের জন্য এই রুটে বিশেষ পাইলট প্রকল্প করা যেতে পারে যেন সবাই টিকেট কাটে এবং এই রুট টিকেট বিক্রির অভাবে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। এক্ষেত্রে পরামর্শ দেয়া যেতে পারে, টিকেট বিহীন যাত্রীদের ১০০-২০০ টাকা জরিমানার সম্মুখীন করা যেতে পারে এবং অনাদায়ে জেল। এর সাথে টিকেট কালোবাজারি ও টিটিই কর্তৃক দুর্নীতি প্রতিরোধে জোরালো ও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক করা হবে।
৫. দূরত্বের ভিত্তিতে মাসিক টিকিটের ব্যাবস্থা করা এবং অনলাইনে এসব টিকিটের নবায়ন ও যাচাইকরণ ব্যাবস্থা করা।
কমিউটার ট্রেনের প্রস্তাব এখনই বাস্তবায়ন জরুরী নয় সেটা নতুন ২০০ কোচ এবং ৭০ ইঞ্জিন আসার পরেও দেয়া যেতে পারে। শুধু সড়ক পথের সেবা দানকারীদের সুবিধার দিকে না দেখে সাধারণ জনগণের জন্য রেলকে ব্যাবহার করতে হবে।

সাধারণ যাত্রীদের এই ভোগান্তির হাত থেকে উত্তরণের জন্য কর্তিপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানাচ্ছি ।



এই বিভাগের আরও