ক্যান্সারের ওষুধও নকল! এ কোন বাংলাদেশ?

৩১ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৮:২৬ এএম | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম


ক্যান্সারের ওষুধও নকল! এ কোন বাংলাদেশ?
অনলাইন ডেস্ক নকল ওষুধের দৌরাত্ম্য এখন ক্যান্সার পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। ক্যান্সারের নকল ওষুধ উদ্ধার করেছে পুলিশের তদন্ত বিভাগ সিআইডি। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর তাঁতীবাজারে অভিযান চালিয়ে একটি গোডাউন থেকে ক্যান্সারের এমটিএক্স, ক্লোমাইড ও রিভোকন নামের ওষুধের ৪০ হাজার পাতা জব্দ করেছেন সিআইডির সদস্যরা। একই সঙ্গে তারা গ্রেফতার করেছেন তিন অপরাধীকে। জানা গেছে, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী আমদানির আড়ালে কাস্টমসের অসাধু কর্মকর্তাদের সহায়তায় এসব নকল ওষুধ আনা হয়েছিল। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা এককথায় ভয়াবহ। গ্রেফতারকৃতরা প্রায়ই চীনে যেত আর সেখানে চাহিদা অনুযায়ী ভেজাল ওষুধ তৈরির অর্ডার দিত, এরপর ঢাকায় কাস্টমসের অসাধু ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে সেগুলো ছাড় করিয়ে বাজারে ছাড়ত। ক্যান্সারের নকল ওষুধে মুনাফার হারও খুব বেশি। ১২ টাকা উৎপাদন খরচে তৈরি এই ওষুধ ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। ক্যান্সারের নকল ওষুধ উদ্ধারের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নিশ্চয়ই এ রোগে আক্রান্তরা ও তাদের আত্মীয়স্বজন ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ক্যান্সার এমনিতেই এক দুরারোগ্য জটিল ব্যাধি। এর চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। ক্যান্সারে আক্রান্তের স্বজনরা রোগীর চিকিৎসা করতে হিমশিম খান। এ অবস্থায় যদি বাজার থেকে তাদের নকল ওষুধ ক্রয় করতে হয়, তাহলে অবস্থাটা কী দাঁড়ায়? রোগীর স্বজনরা হয়তো বুঝতেও পারেন না, নকল ওষুধে কোনো কাজ হয়নি অথবা এ ওষুধে রোগ আরও জটিল হয়ে রোগী মারা গেছে। ক্যান্সারের নকল ওষুধের ব্যবসা করছে যারা, তাদের অপরাধের ক্ষমা নেই। মানবিক গুণাবলীর লেশমাত্র নেই তাদের মধ্যে। আমরা চাইব, এসব জঘন্য অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। দ্বিতীয়ত, ক্যান্সারের নকল ওষুধের বিস্তার কতটা ঘটেছে, তা-ও খুঁজে বের করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের জন্য আলোচ্য ঘটনাটি একটি বার্তাস্বরূপ। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকেও গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে হবে। দেশের অসংখ্য নাগরিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং প্রতিনিয়তই এ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় এই রোগের নকল ওষুধের বিরুদ্ধে চালাতে হবে সর্বদিকবিস্তৃত অভিযান।  


এই বিভাগের আরও