নরসিংদীতে পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশে হস্তান্তরের অভিযোগ

০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম


নরসিংদীতে পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশে হস্তান্তরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীতে পরীক্ষা দিতে আসা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকে মারধর করে পুলিশের তুলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ নিহার রঞ্জন দাস। 

এর আগে শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে সাহেপ্রতাবস্থ নরসিংদী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সংলগ্ন পুলিশ লাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের পক্ষ হতে করা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব ভুইয়া।

মারধরের শিকার হওয়া সুমিত সরকার (২২) নরসিংদী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের ৮ম পর্বের শিক্ষার্থী ও একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি গাজীপুরের কালিগঞ্জ এলাকার রাজকুমার সরকারের ছেলে। নরসিংদী সদরের দগরিয়া এলাকার একটি মেসে থেকে পড়াশোনা করতেন তিনি। 

অধ্যক্ষ নিহার রঞ্জন দাস বলেন, "পরীক্ষা শেষে কোন একজন ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে শুনেছি। তারই ২০-২৫ জন সহপাঠী এসে আমাকে ঘটনাটি জানায়। পরে আমি পুলিশকে ফোন করলে তারা জানান বিষয়টি রাজনৈতিক"। 

মারধর করে পুলিশে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, "তাকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে কী না আমি নিশ্চিত নই, ঘটেও থাকতে পারে। তবে তার সহপাঠীদের বরাতে জানলাম ছেলেটি রাজনীতি করলেও অত্যন্ত নম্র ও ভদ্র। কোনরূপ অশুভ কাজে জড়িত ছিল না। ঘটনাটি আমার খারাপ লেগেছে। এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে এমন সকলেই আমার শিক্ষার্থী। তবে আজকে তার শেষ পরীক্ষা ছিল বলে পরীক্ষার কোনো ক্ষতি হবে না।" 

 

এ নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন বলেন, "সুমিত পরীক্ষা শেষে হল থেকে  বের হয়ে বাসায় ফেরার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তার পথ আটকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এর আগে তার নামে কোনো মামলা কিংবা অভিযোগ ছিল না। সে অত্যন্ত ভাল ছেলে। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই"।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদসহ ছাত্রদলের একাধিক নেতাকে ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি। ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রদলেরও কমিটি নেই।

তবে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব ভূইয়া বলেন, ঘটনাটি আমাদের জানা নেই। এরকম কোন ঘটনা ঘটে থাকলে ছাত্রদল খতিয়ে দেখবে। কোনো শিক্ষার্থীর উপর হেনস্তার ঘটনা ছাত্রদল সমর্থন করে না। তবে কারও বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ থাকলে এবং আইন প্রয়োগ হলে বিষয়টি আমাদের দায়িত্বে নেই।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন,  ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন, সে ছাত্রলীগের মিছিলে অংশগ্রহণ করেছে এমন অভিযোগ রয়েছে। তাকে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিষয়টি এমন নয়। পুলিশ লাইন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়, তার নামে পুলিশ বাদী হয়ে করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।