সেমিস্টার ফি কমানোর দাবিতে নরসিংদী তাঁত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

২৩ নভেম্বর ২০২২, ০৫:৪৪ পিএম | আপডেট: ০৩ মে ২০২৪, ০১:৩৫ এএম


সেমিস্টার ফি কমানোর দাবিতে নরসিংদী তাঁত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পরীক্ষার সেমিস্টার ফি কমানোর দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন শুরু করেছে নরসিংদী তাঁত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ১০ টার দিকে ক্লাস বর্জন করে নরসিংদীর সাহেপ্রতাবে ইনস্টিটিউটের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এসময় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান করে তারা।

এতে বিভিন্ন সেমিস্টারের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এর আগে গত মঙ্গলবারসহ একাধিকবার তাদের দাবি আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এবং শিক্ষকদের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিতও করেছেন। কিন্তু তারা আশ্বাসের প্রতিফলন দেখতে না পেয়ে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়।

নরসিংদী তাঁত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ৬ষ্ট সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মো. সজিব বলেন, আমরা সরকারী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আমাদের তাঁত বোর্ডের অধীনে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আমাদের অর্ধেক বেতন ও সেমিস্টার ফি দেয়। কিন্তু আমাদেরকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমতুল্য বেতন ও সেমিস্টার ফি দিতে হচ্ছে যা খুবই অমানবিক ও অন্যায়। আমরা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি না। যদি আমাদের সেমিস্টার ফি ও বেতন কমানো না হয়, আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ ও অহিংসা আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চালিয়ে যাবো।

একই সেমিস্টার আরেক শিক্ষার্থী রকিব আহমেদ বলেন, আমাদের ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রায় এক যুগ আগে। আমাদের দাবি প্রিন্সিপালের কাছে নিয়ে গেলে তিনি আমাদেরকে বলেন যে এই প্রতিষ্ঠান খন্ডকালীন শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। যার জন্য বেশি টাকা ফি দিতে হয়। যদি সরকার এক যুগ পরেও সরকারীভাবে শিক্ষকও কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে না পারেন সেটা সরকারের ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ব্যর্থতা। তাদের ব্যর্থতার দায় আমরা কেন বহন করবো। অবিলম্বে সেমিস্টার ফি কমিয়ে  আনা হউক। অতিবিলম্বে আমাদের দাবি পূরণ করা না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

নরসিংদী তাঁত শিক্ষা ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলজার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা তাঁত বোর্ডকে দাপ্তরিক চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি একাধিকার। আমাদের কিছুই করার নেই। বোর্ড থেকে সব নির্ধারিত হয়। তাছাড়া, আমাদের প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষক ও কর্মচারী খন্ডকালীন হওয়ায় তাদের সেমিস্টার ফি সহ অন্যান্য ফি কমানোর সুযোগ তুলনামূলক কম।