ইউপিডিএফ সদস্যদের হাতে অপহৃত রবি'র টেকনিশিয়ান ইসমাইলকে উদ্ধারের দাবি পরিবারের

১৪ মে ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম | আপডেট: ১৪ মে ২০২৫, ১১:৪৭ পিএম


ইউপিডিএফ সদস্যদের হাতে অপহৃত রবি'র টেকনিশিয়ান ইসমাইলকে উদ্ধারের দাবি পরিবারের
নিজস্ব প্রতিবেদক:
খাগড়াছড়িতে উগ্রবাদী গোষ্ঠী ইউপিডিএফ সদস্যদের হাতে অপহৃত রবি নেটওয়ার্কের টেকনিশিয়ান মোঃ ইসমাইলকে মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। বুধবার (১৪ মে) সকালে নরসিংদীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
 
অপহৃত মোঃ ইসমাইল নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার বীরবাঘবের গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে।
 
সংবাদ সম্মেলনে ইসমাইলের ভাই শাহিন মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, তাঁর ভাই মোবাইল ফোন অপারেটর রবি’র টেকনিশিয়ান মোঃ ইসমাইলকে গত ১৯ এপ্রিল অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর হতে রবি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। 
 
মোঃ ইসমাইল ডিসেম্বর মাস থেকে ইডটকো বাংলাদেশ লিমিটেডের অধীনে সাবস্ কমিউনিকেশন নামক একটি প্রতিষ্ঠানে রবি টাওয়ার টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 
 
পরিবারের অভিযোগ, অপহরণের পর রবি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ইডটকো নামক একটি কোম্পানির কথা জানায়। ইডটকো আবার সাবস্ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠায়। তবে, উভয় কোম্পানিই এ বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই বলে অপারগতা প্রকাশ করছে। 
 
এতে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। যাদের সাথেই যোগাযোগ করা হচ্ছে, তাদের কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এমনকি ইডটকো ও সাবস্ কোম্পানির দুই কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও ওবায়দুল হক পরিবারের সদস্যদের সাথে খারাপ ব্যবহারও করেছেন। 
 
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ২৩ দিন পেরিয়ে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন এবং রবি নেটওয়ার্ক টাওয়ার সংশ্লিস্ট ককর্তৃপক্ষ এখনও ইসমাইলকে উদ্ধার করতে পারেনি। যদিও রবি নেটওয়ার্কের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
 
 
দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে মোঃ ইসমাইল অপহরণের সংবাদ প্রকাশিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক খবর পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে, মোঃ ইসমাইলের পরিবার তার দ্রুত মুক্তি ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
 
গত ১৯ এপ্রিল খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ময়ূরখীল এলাকা থেকে উগ্রবাদী গোষ্ঠী ইউপিডিএফ সদস্যরা ঈসমাইলকে অপহরণ করে।


এই বিভাগের আরও