বেলাব বড়িবাড়ির যুদ্ধ: এখনো আতকে উঠেন এলাকাবাসী
২০ জুলাই ২০২০, ১২:৩১ এএম | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৩ এএম

শেখ আঃ জলিল:
বেলাব উপজেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পাঁড় ঘেষা গ্রামের নাম বড়িবাড়ি। ১৯৭১ সালের ১৪ জুলাই মঙ্গলবার, মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর নির্মমতা ও হত্যাযজ্ঞের এক নীরব সাক্ষী। ৭১ এর রক্তস্নাত গ্রাম বড়িবাড়িতে প্রতিবছর ১৪ জুলাই দিনটি এলে এখনো স্বজন হারানোর কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১৪ জুলাই তারিখে পাকবাহিনীর সাথে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয় এই বড়িবাড়িতে। সেই যুদ্ধে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় ৫৫ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে দখলদার বাহিনী। সেসময় অসংখ্য বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। যুদ্ধ শেষে পাকবাহিনী বড়িবাড়ি গ্রামে ঢুকে নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। সেদিন হায়ানাদের কবল থেকে শিশু বৃদ্ধ যুবক কেউই রক্ষা পায়নি। পাকবাহিনী চলে যাবার পর পুনরায় আসতে পারে সে ভয় আর আতংকে সেদিন এক কবরে ৪/৫ জন করে সমাহিত করেন গ্রামবাসী।
বড়িবাড়ির প্রবীণ গ্রামবাসী ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ঐদিন ৩ নং সেক্টরের অধীন প্লাটুন কমান্ডার সুবেদার আবুল বাশারের নেতৃত্বে ২৫/২৬ জন মুক্তিযোদ্ধা বড়িবাড়ি গ্রামে অবস্থান নেয়। ১৪ জুলাই সকালে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের সালুয়া গ্রাম থেকে পাকবাহিনীর একটি দল নৌকা ও লঞ্চ যোগে বেলাব’র দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। এসময় বড়িবাড়িতে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের এগিয়ে আসা নৌকাটিকে সন্দেহ হলে নৌকাকে তীরে আসার জন্য নির্দেশ দেয়। এ নির্দেশ শুনে নৌকা থেকে পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের উপর এলোপাথারী গুলি ছুড়তে থাকে। অন্যদিকে লঞ্চে থাকা পাকবাহিনীর বিশাল আরেকটি দল কৌশলে তীরে উঠে মুক্তিবাহিনীদের ঘিরে ফেলে এবং এলোপাথারী গুলি বর্ষণ করতে থাকে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর। কিন্তু ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পাকবাহিনীর শতাধিক সদস্য’র সাথে যুদ্ধে পেরে উঠতে না পেরে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে থাকেন। কিন্তু এর আগেই পাকবাহিনীর গুলিতে শহীদ হয় মুক্তিযোদ্ধা প্লাটুন কমান্ডার সুবেদার আবুল বাশার বীর প্রতিক, আঃ বারি, নুরুল হক, মমতাজ উদ্দীন ও সোহরাব হোসেন। পরে পাকবাহিনী বড়িবাড়ি গ্রামে ঢুকে নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্বিচারে হত্যা করে বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
বড়িবাড়ি যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খলিলউল্লাহ পাঠান যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বড়িবাড়ির যুদ্ধে আমি অংশগ্রহণ করেছি। সেদিনের যুদ্ধে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৫৫ জন গ্রামবাসী শহীদ হয়েছিলেন। বড়িবাড়ির যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে সেখানে একটি শহীদ মিনার তৈরী করা হলেও আমাদের দাবী এই যুদ্ধে শহীদ হওয়া ৬০ জনের নাম সম্বলিত একটি স্মৃতি ফলক যাতে সরকারীভাবে নির্মাণ করা হয়।
বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা শরমিন বলেন, ১৯৭১ সালে বেলাবরের বড়িবাড়ির যুদ্ধে শহীদদের নাম সম্বলিত স্মৃতিফলক তৈরী করা উচিত। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক যদি এ ব্যাপারে আবেদন করা হয় তাহলে শহীদদের নাম সম্বলিত স্মৃতিফলক তৈরী করা হবে।
বিভাগ : নরসিংদীর তথ্যবই
- নরসিংদী সরকারি কলেজের ২৫০ কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
- শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে হামলার প্রতিবাদে নরসিংদীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
- পলাশে বেতন-বোনাসের দাবিতে দেশবন্ধু পলিমারে শ্রমিক বিক্ষোভ
- নরসিংদী সমবায় ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন
- মনোহরদীতে নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা রোধে WAVE প্ল্যাটফর্ম গঠিত
- রায়পুরায় বিএনপি নেতা শ্যামলকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করল কলেজ শাখা ছাত্রদল
- ৫ দফা দাবিতে নরসিংদীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান
- পাঁচদোনায় অবৈধ ব্যাটারী কারখানায় আগুন, ৭ শ্রমিক দগ্ধ
- রায়পুরার সংবাদপত্রের এজেন্ট বিশ্বনাথ সাহা আর নেই
- টাইফয়েড টিকাদান নিয়ে নরসিংদীতে পরামর্শমূলক কর্মশালা
- নরসিংদী সরকারি কলেজের ২৫০ কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
- শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে হামলার প্রতিবাদে নরসিংদীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
- পলাশে বেতন-বোনাসের দাবিতে দেশবন্ধু পলিমারে শ্রমিক বিক্ষোভ
- নরসিংদী সমবায় ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন
- মনোহরদীতে নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা রোধে WAVE প্ল্যাটফর্ম গঠিত
- রায়পুরায় বিএনপি নেতা শ্যামলকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করল কলেজ শাখা ছাত্রদল
- ৫ দফা দাবিতে নরসিংদীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান
- পাঁচদোনায় অবৈধ ব্যাটারী কারখানায় আগুন, ৭ শ্রমিক দগ্ধ
- রায়পুরার সংবাদপত্রের এজেন্ট বিশ্বনাথ সাহা আর নেই
- টাইফয়েড টিকাদান নিয়ে নরসিংদীতে পরামর্শমূলক কর্মশালা