ব্যাটল অব মাইন্ড ২০১৯: পরবর্তী লক্ষ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়!

২৯ আগস্ট ২০১৯, ০৬:৫৬ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম


ব্যাটল অব মাইন্ড ২০১৯: পরবর্তী লক্ষ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়!

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

আগামি ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোডশো আয়োজন করতে যাচ্ছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি)। চাকরি প্রদানের অজুহাতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও ‘ব্যাটল অব মাইন্ড ২০১৯’ এর কার্যক্রম শুরু করেছে মৃত্যুবিপণনকারী এই বহুজাতিক তামাক কোম্পানিটি।

প্রতিযোগিতাকে ঘিরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রোডশো শুরু হয়েছে, চলছে নিবন্ধন। চলতি মাসের ৭ তারিখে আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই প্রতিযোগিতার যাত্রা শুরু হয় এবং ইতোমধ্যে বিএটিবি আরো তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিমিলিটারী ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজী (এমআইএসটি) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) রোডশো আয়োজন শেষ করেছে। এভাবেই আগামী কয়েক মাস জুড়ে নানা আয়োজন ও প্রচারণার মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতা চলতে থাকবে। উল্লেখ্য, বিএটিবি ২০০৪ সাল থেকে মূলত ব্রান্ড প্রমোশন, তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে আকৃষ্ট করা এবং নীতিপ্রণেতাদের প্রভাবিত করতেই এই মৃত্যুবিপণন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। কর্মসংস্থান প্রদানের নামে কোম্পানিটি প্রতিবছর এই প্রতিযোগিতা আয়োজনে বিপুল অর্থ ব্যয় করে থাকে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিগত ১৬ বছরে চাকুরি প্রদানের অজুহাতে ৩০ হাজারের অধিক তরুণকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো হলেও চাকরি পেয়েছে মাত্র ১০০ জন বা এর সামান্য কিছু বেশি।

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) এর ৫(গ) ধারায় তামাক কোম্পানির নাম, সাইন, ট্রেডমার্ক, প্রতীক ব্যবহার করে এ ধরনের কোন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন ও পুরস্কার প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি আইনের এই ধারা লংঘন করলে অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা অনুর্ধ্ব তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান বলবৎ আছে। বিএটিবির এধরনের কার্যক্রম একইসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের পরিপন্থী। তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় বহুজাতিক তামাক কোম্পানি (বিএটিবি) এর বিতর্কিত প্রতিযোগিতা ‘ব্যাটল অব মাইন্ড ২০১৯’ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।


বিভাগ : জীবনযাপন


এই বিভাগের আরও