রায়পুরায় ঐতিহ্যবাহী জারিগানের আসরে দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়

১০ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৩০ পিএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ এএম


রায়পুরায় ঐতিহ্যবাহী জারিগানের আসরে দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর রায়পুরায় বসেছিল হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী জারি গানের আসর। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের সামির উদ্দিনের বাড়িতে বসা জারি গানের আসর দেখতে দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় জমে।

আসরটিতে পয়ার ছন্দে রচিত আখ্যানমূলক কারবালার পাঁচালি প্রদর্শন করে উপজেলার খাকচক জারি গানের দল।

আয়োজকরা জানান, গ্রাম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গের নাম জারি গান। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসা এই মহরম মাসে জারিগানে দর্শক শ্রোতা ফিরেছে। জারি গানের আসরে ছুটে আসেন বিভিন্ন বয়সী হাজারো দর্শক। এতে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগের শিশু কিশোররা জারি গানের আসর সম্পর্কে জানতে পেরেছে।

বিকেলে জারিগান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসাইন। আরও উপস্থিত ছিলেন রায়পুরা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ, চান্দেরকান্দি ইউপি সদস্য মনিক মিয়া, ডাক্তার নজরুল ইসলাম, মো: দানিস মিয়া, মো: দুলাল মিয়া, হারুন মিয়া প্রমূখ।

মো: দানিস মিয়া বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে প্রতিবছর এই দিনে এই গ্রামে জারী গানের আসর বসে। কারবালার স্মৃতি বিজড়িত ঘটনা শুনতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন। এতে দর্শকরা খুব আনন্দ পায়।

গানের দলের অধিনায়ক হবি পাগলা বলেন, রায়পুরার খাকচক এলাকার স্থানীয়দের নিয়ে ১৫ সদস্যের জারী গানের দল। এই জারি গান বংশপরম্পরায় ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখতে দল-বল নিয়ে করে আসছি। মহরম মাসব্যাপী ব্যস্ত থাকি। প্রতিদিন কোনো না কোনো উঠোন আসর থাকবেই। উঠোন থেকে সম্মানি দেয়া হয়, তাতেই চলে সকলের সংসার। ১৬৪৫ সালে ‘মকতুল হোসেন’ নামে কারবালাকেন্দ্রিক একটি শোকগাথা রচনা করা হয়। এটিকেই জারি গানের আদি নিদর্শন হিসেবে মনে করে নেচে-গেয়ে দর্শক শ্রোতা মাতিয়ে রাখি।


বিভাগ : বিনোদন


এই বিভাগের আরও