গ্রামে থাকা পোশাক শ্র‌মিকদের বেতন পৌঁছে দেয়া হবে: বিজিএমইএ

২৯ এপ্রিল ২০২০, ০৩:১৫ পিএম | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম


গ্রামে থাকা পোশাক শ্র‌মিকদের বেতন পৌঁছে দেয়া হবে: বিজিএমইএ
ফাইল ছবি

অর্থনীতি ডেস্ক:

ঢাকার বাইরে অবস্থানরত পোশাক শ্রমিকদের এখন ঢাকায় আসার প্রয়োজন নেই, তাদের বেতন পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বুধবার (২৯ এপ্রিল) বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজিএমইএ জানায়, যেসব পোশাক শ্রমিক ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন তাদের ঢাকায় আসার প্রয়োজন নেই, তাদের বেতন পৌঁছে দেয়া হবে। যেহেতু সরকার আশপাশে অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে কারখানা খোলার অনুমতি দিয়েছে, সেজন্য ঢাকার বাইরে থেকে কোনো পোশাক শ্রমিককে ঢাকায় না আসার জন্য বলা হলো।

সম্প্রতি পোশাক কারখানা চালুর ঘোষণা দিলে শ্রমিকরা বেতন না পাওয়া ও চাকরি হারানোর ভয়ে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসতে শুরু করেন। এরই প্রেক্ষিতে বিজিএমইএ এ তথ্য জানায়।

জানা গে‌ছে, সহ‌জে ঘ‌রে ব‌সে বেতন-ভাতা পেতে সম্প্রতি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রায় ২৫ লাখ নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এজন্য দে‌শের যেখা‌নেই থাকুক না কেন সেখা‌নেই বেতন পৌঁ‌ছে দেয়া সম্ভব।

এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক কারখানা খোলার বিষয়টি অবহিত করে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালুর কথা উল্লেখ করে সংগঠনের সদস্যভুক্ত কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে খোলা হচ্ছে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

শুরুতে রোববার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের কিছু কারখানা, ২৮ থেকে ৩০ এপ্রিল আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের কারখানা, ৩০ এপ্রিল রূপগঞ্জ, নরসিংদী, কাঁচপুর এলাকা, ২ ও ৩ মে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকার কারখানা চালু করা হবে। কারখানা খোলার ক্ষেত্রে শুরুতে উৎপাদন ক্ষমতার ৩০ শতাংশ চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে। চিঠির জবাবে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে কারখানা চালু করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়।

অন্যদিকে পোশাক কারখানা খুলতে ১৭ পৃষ্ঠার একটি নির্দেশনা দেয় বিজিএমইএ। ১৭ পৃষ্ঠার নির্দেশনায় বিজিএমইএ প্রাথমিকভাবে কারখানার কাছাকাছি বসবাসকারী শ্রমিকদের কাজে নিয়োগের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানায়। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত সম্প্রতি গ্রাম থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের কারখানায় প্রবেশের অনুমতি না দেয়ারও পরামর্শ দেয় সংগঠনটি।


বিভাগ : অর্থনীতি


এই বিভাগের আরও