অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় ঐক্য ধারণ করতে হবে: শ ম রেজাউল করিম

১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৫৬ পিএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম


অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় ঐক্য ধারণ করতে হবে: শ ম রেজাউল করিম

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, “বিজয় দিবসে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে দৃঢ় ঐক্য আমাদের ধারণ করতে হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেয়ার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে সমুন্নত রাখার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। “

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক-সাইফ মিজান স্মৃতি সভাকক্ষে মহান বিজয় দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান এবং পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার।

এসময় তিনি আরো জানান, “যে যেদল করিনা কেনো আমাদের একটা জায়গায় বিশ্বাস করতে হবে, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করি। এর মাধ্যমে দেশের নেতৃত্বকে বেছে নিতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানে ফেরত নেয়ার চেষ্টা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশক ধ্বংস করার জন্য জয় বাংলার পরিবর্তে পাকিস্তান স্টাইলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ প্রবর্তন করা হয়। ২০২০ এর বিজয় দিবসে এসে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুরা এদেশে থাকতে পারবে কি পারবে না সে বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। ১৯৮১ সালের ১৭মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ প্র্রতিষ্ঠিত করেছেন।”

তিনি আরো যোগ করেন, “মুজিববর্ষে একজন মুক্তিযোদ্ধা গৃহহীন থাকবে না। সে প্রতিজ্ঞা শেখ হাসিনা নিয়েছেন শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ আশ্রয়স্থল। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যুদ্ধাপরাধীদের কোন ক্ষমা নেই। তবে যুদ্ধাপরাধীদের প্রেতাত্মা আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। এরা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার দুঃস্বপ্নে বিভোর রয়েছে। এদেরকে সকলে মিলে প্রতিহত করতে হবে।”

এদিন সকালে পিরোজপুরের নাজিরপুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। পরে নাজিরপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ করেন মন্ত্রী। এরপর নাজিরপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন তিনি।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও