বাংলাদেশকে ১ লাখ ডোজ করোনাভ্যাকসিন ফ্রি দেবে চীন

১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:০৫ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ পিএম


বাংলাদেশকে ১ লাখ ডোজ করোনাভ্যাকসিন ফ্রি দেবে চীন
ছবি: নিউইয়র্ক টাইমস

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিনকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের নিয়ামক হিসেবে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছে চীন। এশিয়া থেকে আফ্রিকা পর্যন্ত ভ্যাকসিনের মাধ্যমে বন্ধুত্ব বাড়াতে চাইছে তারা। এজন্য ফিলিপাইন খুব দ্রুতই চীন থেকে করোনাভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ১ লাখ ডোজ ফ্রি পাবে চীনা একটি কোম্পানি থেকে। নিউইয়র্ক টাইমসের বেইজিং ব্যুরোর প্রতিনিধি সুই-লি উই এর এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

সুই-লি উই তার প্রতিবেদনে বলেছেন, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ৪ হাজার ২০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে ট্রায়াল চালাবে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানি। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) নির্বাহী পরিচালক জন ডি ক্লেমেন্সকে উদ্ধৃত করে উই লিখেছেন, চীনা কোম্পানিটি বাংলাদেশকে ১ লাখ ১০ হাজার ফ্রি ভ্যাকসিন ডোজ দিতে রাজি হয়েছে।

বাংলাদেশে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে সহায়তা করছে আইসিডিডিআরবি। বাংলাদেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষের তুলনায় এই ভ্যাকসিনের পরিমাণ খুবই নগণ্য বলে উল্লেখ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিলেও বাংলাদেশিদের অনেকেরই আশঙ্কা, উচ্চ মূল্যের কারণে করোনার ভ্যাকসিন সবার কাছে নাও পৌঁছাতে পারে।

বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুরুত্বারোপ করে বলেছে, ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করতে চাইবে না চীন। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনকে কূটনৈতিক অস্ত্র হিসেবে চীন ব্যবহার করছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং।

এদিকে করোনার ভ্যাকসিনের দৌড়ে এখন পর্যন্ত চীন-রাশিয়া সবচেয়ে এগিয়ে। রাশিয়া জাতীয়ভাবে ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। ‘স্পুটনিক ভি’ নামের ওই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল এখনো শেষ হয়নি। চীনের চারটি ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে আছে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ এত ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে নিতে পারেনি।

বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে আইসিডিডিআরবিকে। সংস্থাটি বলে আসছে, খুব দ্রুত আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রায়াল শুরু হবে।

এদিকে ইন্দোনেশিয়াকেও করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণায়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, শি জিনপিং বলেছেন, এ ভ্যাকসিন দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।


বিভাগ : বাংলাদেশ