স্বর্ণ চোরাচালানের অন্যতম হোতা গ্রেফতার, ৬ স্বর্ণের বার ও ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার

১৮ জুন ২০২০, ০৫:৪৬ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ এএম


স্বর্ণ চোরাচালানের অন্যতম হোতা গ্রেফতার, ৬ স্বর্ণের বার ও ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালানের একজন অন্যতম হোতা ও স্বর্ণ পাচার মামলার পলাতক আসামী শ্যাম ঘোষ (৪৬) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ১১। গত ১০ জুন বিকালে ডিএমপি ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে শ্যাম ঘোষ এর স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাঁতীবাজারে তার দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ৬টি স্বর্ণের বার যার ওজন ৭০০.৫০ গ্রাম ও চোরাচালানকৃত স্বর্ণ বিক্রয়ের নগদ ত্রিশ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ২০১৮ সালের ০৭ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-১১ এর বিশেষ অভিযানে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন মৈনট ঘাট এলাকায় হতে অবৈধ স্বর্ণ পাচারকালে ২০০টি স্বর্ণের বারসহ আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের ০৫ জন সদস্যকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত ২০০টি স্বর্ণের বারের ওজন সর্বমোট ২৩ কেজি ৩২৮ গ্রাম, যার বাজার মূল্য আনুমানিক নয় কোটি টাকা। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে চোরাচালান আইনে একটি মামলা করা হয়। মামলাটি বর্তমানে র‌্যাব তদন্ত করছে।
পরে আদালতে আসামীদের প্রত্যেকের দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে একটি বিষয় উঠে আসে যে এই স্বর্ণের চোরাচালানের অন্যতম হোতা শ্যাম ঘোষ নামের তাঁতীবাজার এলাকার এক ব্যবসায়ী এবং সে এই পাচারকৃত স্বর্ণের মূল মালিক।


এছাড়াও ২০১৯ সালের ৩১ মে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ‘‘দিনে কোটি টাকার স্বর্ণ পাচার’’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে অবৈধ স্বর্ণ পাচারকারী হিসেবে শ্যামের নামটিও উঠে আসে। উক্ত সংবাদে বলা হয় গত ২৭ মে ২০১৯ তারিখে ১০৩ টি স্বর্ণের বারসহ আব্দুস সালাম নামে এক স্বর্ণ পাচারকারীকে ঢাকা বিমান বন্দরের গ্রিন চ্যানেল এলাকা হতে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করতঃ বিমান বন্দর থানায় একটি মামলা করা হয়। রিমান্ডে আব্দুস সালাম জানায় যে ঢাকার তাঁতীবাজারের জনৈক শ্যাম ও কৃষ্ণা নামে দুই ব্যবসায়ী তার কাছ থেকে চোরাই স্বর্ণ কিনত।

র‌্যাবের তদন্তাধীন এই মামলায় দীর্ঘদিন শ্যাম ঘোষ পলাতক ছিল। অভিযুক্ত শ্যামকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-১১ বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে সর্বশেষ গত ১০ জুন ডিএমপি ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকা হতে শ্যাম ঘোষ’কে গ্রেফতার করা হয় এবং এই মামলায় তাকে দুই দফায় মোট ০৬ দিনের রিমান্ডে আনা হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। সে আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালানের একটি সিন্ডিকেট এর মূলহোতা। এছাড়াও স্বর্ণ চোরাচালান সম্পর্কে শ্যাম ঘোষ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৪ জুন ডিএমপি ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকায় তার দোকানে অভিযান পরিচালনা করে চোরাচালানকৃত ০৬টি স্বর্ণের বার ও নগদ ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।


গ্রেফতারকৃত আসামীকে ০৬ দিনে রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদে যে সকল তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলো যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে। স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত ও তাদের গ্রেফতার করার লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানায় র‌্যাব।


বিভাগ : বাংলাদেশ