দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানির মাধ্যমে অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে মাছ: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

১১ জুন ২০২০, ০৫:০৯ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম


দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানির মাধ্যমে অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে মাছ: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটাবার জন্য মৎস্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত।

দেশের সকল মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবেমাছ। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। মৎস্য ও প্রাণিজ খাতের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ জড়িত। তারা দেশের চাহিদা যেমন মেটাচ্ছে, রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা এনে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সবল করছে।”

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা লেকে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ শেষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, যুগ্মসচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদারসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, “মিঠা পানি, স্বাদু পানি ও লবণাক্ত পানির মাছ যেগুলো দেশের পরিবেশ নষ্ট করবে না, মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাবে এবং কোনভাবেই ক্ষতিকর নয়, সে জাতীয় মাছের প্রজাতি দেশের বাইরে থেকেও এনে দেশে আমরা বিস্তার করবো।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যার ছোট পুকুর আছে, ভরাট জলাশয় আছে, যাদের মাছের খামার আছে তাদেরকে আমরা সহযোগিতা করছি।

বিভিন্ন কৌশলগত অবস্থান নিয়ে প্রায় ৬৫ প্রকারের মাছের প্রজনন ও জাত বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছি।দেশের হারিয়ে যাওয়া মাছগুলো আধুনিক খামার ব্যবস্থা ও আধুনিক প্রজনন ব্যবস্থার মাধ্যমে নতুন করে নিয়ে আসছি। দেশে নিজস্ব প্রজাতির মাছ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।”

তিনি আরো যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। এটা বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিলো।সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর কর্মসূচি নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের আমিষ ওপুষ্টির চাহিদা পূরণে যেনো কোন ঘাটতি না থাকে।পুষ্টির সরবরাহের জন্য উৎপাদন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করাসহ উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত খামারিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে।”

পোনা মাছ অবমুক্তকরণ শেষে মন্ত্রী জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখেন, বিভিন্ন প্রাণীর খোঁজ-খবর নেন এবং সংশ্লিষ্টদের দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি বিধায় মৎস্য অধিদপ্তর প্রতিবছর প্রাতিষ্ঠানিক ও উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করে থাকে।এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় চিড়িয়াখানার উত্তর ও দক্ষিণ লেকের ৩২ একর আয়তনের জলাশয়ে আজ ৮০০ কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০-১৫ সেন্টিমিটার আকারের ২৬০ কেজি কাতলা মাছের পোনা, ২৮০ কেজি রুই মাছের পোনা এবং কালিবাউস ও মৃগেল মাছের ২৬০ কেজি পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মৎস্য অধিদপ্তর সমগ্র দেশের উন্মুক্ত জলাশয়ে ২০০.৬৩ মে.টন মাছের পোনা অবমুক্ত করেছে।

 


বিভাগ : বাংলাদেশ