ভয়ঙ্কর সেই সিডরের শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’

১৮ মে ২০২০, ০৩:৫০ পিএম | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ পিএম


ভয়ঙ্কর সেই সিডরের শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় এখন ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের কাছাকাছি। সে সময় সিডরের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৪ কিলোমিটার। এছাড়াও ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিলো ২২৩ কিলোমিটার। এই ঘূর্ণিঝড় সরাসরি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিলো আবহাওয়া অধিদফতর।

এদিকে সোমবার (১৮ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের একটি জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদফতর আরো জানিয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

বাংলাদেশের মতো ঘূর্ণিঝড়ের আম্ফানের গতিপথের দিকে চোখ রাখছে ভারতও। দেশটির আবহাওয়া দফতরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী ঝড়ে পরিণত হবে।

ঘূর্ণিঝড়টি ১৮ মে দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯ মে শেষরাত থেকে ২০ মে বিকেলে/সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও