না ফেরার দেশে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান
১৪ মে ২০২০, ০৯:২০ পিএম | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১৫ এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান আর নেই। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। তার ছেলে আনন্দ জামান এর ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ড. আনিসুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুসে সংক্রমণসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। মহাখালীর ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতালে (সাবেক আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল) ২৭ এপ্রিল থেকে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৯ মে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। ইউনিভার্সেল হাসপাতাল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল নেওয়ার সময় ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান হার্ট, কিডনিসহ বেশ কিছু রোগে ভুগছিলেন। পরে তার স্মৃতিভ্রষ্টতা দেখা দেয়।
আনন্দ জামান ফেসবুকে দেওয়া পৃথক স্ট্যাটাসে জানান, আজ সকাল থেকেই তার পিতা ড. আনিসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। দুপুরে তিনি বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। সিএমএইচের চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক ছিলেন। তার জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। তিনি ভাষা আন্দোলন (১৯৫২), ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (১৯৬৯) ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ড কুদরাত-এ-খুদাকে প্রধান করে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে তার গবেষণা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য একাধিক পুরস্কার লাভ করেছেন। প্রবন্ধ গবেষণায় অবদানের জন্য ১৯৭০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। শিক্ষায় অবদানের জন্য তাকে ১৯৮৫ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য তাকে ভারত সরকার তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পদক প্রদান করে। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করে। এছাড়া তিনি ১৯৯৩ ও ২০১৭ সালে দুইবার আনন্দবাজার পত্রিকার ‘আনন্দ পুরস্কার’, ২০০৫ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট. ডিগ্রি এবং ২০১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী পদক লাভ করেন। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
- নরসিংদী -৩ (শিবপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মনজুর এলাহীর গণসংযোগ
- বিএনপি সংঘাত-সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না :ড. মঈন খান
- বর্তমান সংবিধান সাধারণ মানুষের সংবিধান নয় : সারোয়ার তুষার
- শিবপুরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করল চাচাতো ভাইয়েরা
- পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
- চাঁদাবাজ ও খুনীদের বাংলার মসনদে আর দেখতে চাই না: সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম
- ক্ষমতার লোভে একের পর এক ভুয়া ভোট করেছিল আওয়ামী লীগ: ড. মঈন খান
- সমুদ্রে আমাদের সম্পদ এখনো অজানা :মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- শিবপুরে শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ছাত্র-শিক্ষক আহত
- সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে
- নরসিংদী -৩ (শিবপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মনজুর এলাহীর গণসংযোগ
- বিএনপি সংঘাত-সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না :ড. মঈন খান
- বর্তমান সংবিধান সাধারণ মানুষের সংবিধান নয় : সারোয়ার তুষার
- শিবপুরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করল চাচাতো ভাইয়েরা
- পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
- চাঁদাবাজ ও খুনীদের বাংলার মসনদে আর দেখতে চাই না: সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম
- ক্ষমতার লোভে একের পর এক ভুয়া ভোট করেছিল আওয়ামী লীগ: ড. মঈন খান
- সমুদ্রে আমাদের সম্পদ এখনো অজানা :মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- শিবপুরে শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ছাত্র-শিক্ষক আহত
- সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে