কভিড-১৯: বাংলাদেশে বড় আকার নেয়ার শঙ্কা কম

১৪ মার্চ ২০২০, ০৭:০৪ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ এএম


কভিড-১৯: বাংলাদেশে বড় আকার নেয়ার শঙ্কা কম

টাইমস ডেস্ক:

কভিড-১৯ এ মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও তাপমাত্রায় ভূমিকা আছে বলে জানাচ্ছে গবেষণা সংস্থা সোশ্যাল সাইন্স রিসার্চ নেটওয়ার্ক (এসএসআরএন)। আর আক্রান্ত দেশগুলোর উদাহরণ তুলে ধরে সংস্থাটি বলছে, ৫ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। তবে বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তামপাত্রা এখন ২৫ ডিগ্রি থাকায় তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু কভিড-১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে আবহাওয়ার ভূমিকা আছে বলে দাবি করছে গবেষণা সংস্থা সোশ্যাল সাইন্স রিসার্চ নেটওয়ার্ক। আর তাদের জার্নালে দাবি করা হয়েছে, চীনের উহানে যখন তাপমাত্রা ৫ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল তখন সংক্রমণ বেশি হয়েছে।

তবে তাপমাত্রা বাড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা এক অঙ্কে নেমে এসেছে। গেল ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির কম থাকায় আক্রান্ত হয় ইরান। একইভাবে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানিতেও তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় এই ভাইরাসটি বেশি ছড়িয়েছে।

আর সে কারণেই কভিড-১৯ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে আইইডিসিআর। কিন্তু সন্দেহ হলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া এবং বিদেশ ফেরতদের দিচ্ছে স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকারও পরামর্শ।

তবে মৃত্যুঝুঁকির তুলনায় সার্সের চেয়ে পেছনে আছে কভিড-১৯। কারণ কোভিড নাইনটিনে ৫০ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যু ঝুঁকি এক শতাংশেরও কম। আর এই ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজারের বেশির ভাগের বয়সই ৮০ বছরের উপরে। কিন্তু সবচেয়ে কম ঝুঁকিতে শিশুরা রয়েছে।

চীন থেকে শুরু হয়ে ইরান ও ইতালিসহ ভাইরাসটি ছড়িয়েছে স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানী এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ মোট ১৩৫টি দেশে। আর এতে কোভিড-নাইটিনকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

কভিড-১৯ এ মৃত্যুঝুঁকির হার-

 

১০-৩৯ বছর ০.২ শতাংশ

৪০-৪৯ বছর ০.৪ শতাংশ

৫০-৭০ বছর ১.৩ শতাংশ

৮০ বছরের বেশি ১৪.৮ শতাংশ

 

সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও