বসল ২৬তম স্প্যান: ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতু

১০ মার্চ ২০২০, ১২:১৩ পিএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ এএম


বসল ২৬তম স্প্যান: ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতু
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পদ্মাসেতুর ২৬ তম স্প্যান জাজিরা প্রান্তে ২৮ ও ২৯ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়েছে ৩৯০০ মিটার, অর্থাৎ প্রায় ৪ কিলোমিটার পদ্মাসেতু। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে সকাল সোয়া ৯টায় ২৬ তম স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়। এখন বাকি রইল ১৫টি স্প্যান বসানো। চলতি মাসে আরও ২টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সেতুর ৪২টি খুঁটির মধ্যে ৪০টি খুঁটির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। আর ২টির কাজ শেষ হলেই পদ্মাসেতুর সবগুলো খুঁটি স্প্যান বসানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। ২৬তম স্প্যান জাজিরা প্রান্তে ২৮ ও ২৯ নম্বর খুঁটির উপর বসানোর পর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে একসঙ্গে ১৪টি স্প্যান দেখা যাচ্ছে।

প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মা সেতুর ৪১টি স্থানের মধ্যে মাওয়া প্রান্তে বিচ্ছিন্নভাবে ১২টি এবং জাজিরা প্রান্তে ১৩টি স্প্যান বসে আছে। জাজিরা প্রান্তে ২৯ নাম্বার থেকে ৪২ নাম্বার খুঁটি পর্যন্ত এই ১৩টি স্প্যান বসেছে। আর মাওয়া প্রান্তে ৫ থে‌কে ৭ নাম্বার পর্যন্ত ২টি, ১৩ থে‌কে ১৯ নম্বর পর্যন্ত আরও ৬টি এবং ২১ থে‌কে ২৫ পর্যন্ত ৪টি সহ ১২টি স্প্যান বসেছে।

পদ্মা সেতু প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, সেতুর আর মাত্র ২টি খুঁটির শেষদিকের কাজ বাকি। ২৬ এবং ২৭ নাম্বার খুঁটির কাজ এখন চলছে। আর গতকাল গভীর রাতে মাওয়া প্রান্তে ১০ খুঁটির কাজ শেষ হয়।

পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে পদ্মা সেতুতে সবগুলো স্প্যান বসানো শেষ হয়ে যাবে এবং ২০২১ সালের জুলাই মাস নাগাদ সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল করবে। একই সঙ্গে বেশিরভাগ পিলার প্রস্তুত হওয়ার ফলে চলতি বছর প্রতি মাসে ৩টি করে স্প্যান বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে জানুয়ারি মাসে বসেছে ২টি স্প্যান এবং ফেব্রুয়ারি মাসে বসেছে ৩টি স্প্যান।

প্রসঙ্গত, পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি। প্রতিটি পিলারে রাখা হয়েছে ৬টি পাইল। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। স্প্যানগুলো চীন থেকে তৈরি করে বাংলাদেশে আনা হয়।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও