অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো ভারত

২৫ জুলাই ২০১৯, ০৭:১৫ পিএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ এএম


অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো ভারত
ফেরত আসা বাংলাদেশীরা

টাইমস ডেস্ক:

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ৩০ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে এসব বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করা হয়।  

ভারতের করিমগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবজিত নাথ ও ইন্সপেক্টর আব্দুল ওয়াকিল তাদেরকে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন অফিসার এসআই রফিকুল ইসলাম ও জকিগঞ্জ থানার এসআই মিজানুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন। 

ফেরত পাঠানো ৩০ বাংলাদেশি হলেন কক্সবাজারের নুরুল আলম (৩২), আরিফুল হাকিম(৩৮), বগুড়ার আবুল কালাম আজাদ(৩৩), ব্রাহ্মনবাড়ীয়ার ওয়াহিদুল হক (৩৫), নাটোরের বাবুল সর্দার (৫২), ইউনুছ আলী(৩১), কুমিল্লার মোহাম্মদ জাবেদ(৪৮), মুমিন আলী(৩৭), কার্তিক চন্দ্র শীল(৪৮), আবুল খায়ের(৩০), ফরিদপুরের মোজাহার মোল্লা(৩৯), সাহেলা আক্তার(২৩), কুড়িগ্রামের সাদ্দাম হোসেন(২৩), জাহাঙ্গির আলম(২৭), পাবনার ফজর আলী মোল্লা(৩৭), সাতক্ষিরার আজবাহার পিয়াদা (৬৫), চাঁদপুরের নুর মোহাম্মদ গাজী (৫৫), নেত্রকোনার সুচিত্রা বিশ্বাস (৪৩), আবুল কাশেম (৫০), ময়মনসিংহের আসমা বেগম (৩৭), সিলেটের আব্দুল কুদ্দুস (৪৫), খাগড়াছড়ির নুরুল আমিন(৩০), জামালপুরের চাঁন্দ মিয়া ওরফে কাওছার আহমদ(৪৯), পঞ্চগড়ের ইলিয়াছ আহমদ (৩০), জাহাঙ্গির আলম(৩৩), দিনাজপুরের জাহাঙ্গির আলম সম্ভু(৩৭), সুনামগঞ্জের লক্ষন চক্রবর্তী (২৭), খুলনার আবুল কালাম মোল্লা (৪৯), চুয়াডাঙ্গার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (৪৬), চট্টগ্রামের আশীষ দাস(৫১)।

সাজা ভোগকারী নেত্রকোনার আবুল কাশেমের মা হাসিনা বেগম ও বড় ভাই জয়নাল আবেদীন বলেন,  ৬ বছর আগে আবুল কাশেম নিখোঁজ হন। আমরা তার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। সরকারের তৎপরতায় তাকে ফেরত পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।

ভারতের গোয়ালপাড়া কারাগারে সাজা ভোগকারী কুমিল্লার আবুল খায়ের বলেন, সখের বশে অবৈধভাবে ভারত ঘুরতে গিয়ে জীবনের দীর্ঘ সময় নষ্ট করেছি। আমি যে ভুল করেছি অন্য কেউ যেন এমন ভুল না করে।

হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষে ভারত ফেরত প্রত্যেককে তাদের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয় পুলিশ। স্বজনদের কাছে পেয়ে অনেকেই আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, ভারত থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশিরা ২ থেকে সর্বোচ্চ ২৩ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন কারাগারে সাজা ভোগ করেছেন। আটককৃতদের সঠিক নাম পরিচয় না থাকার কারণে অনেকে দীর্ঘদিন সাজা ভোগ করেছেন। পরবর্তীতে ভারতীয় হাই কমিশনের মাধ্যমে নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরে তাদেরকে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

তিনি আরও বলেন, সিলেটের কারাগারে অনেক ভারতীয় বন্দী আছে আমরা তাদের পরিচয় ছবি সনাক্ত করে ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। যদি ভারতীয় পুলিশ তদন্ত করে নিশ্চিত করে এরা তাদের দেশের লোক তাহলে আমরাও ভারতে বন্দী হস্তান্তর করবো।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও