করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ৪০০৮, মৃত্যু ৪৩

১৭ জুন ২০২০, ০২:০৬ পিএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৮ এএম


করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ৪০০৮, মৃত্যু ৪৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) দেশে নতুন করে আরও ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় সর্বোচ্চ ৪০০৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। বুধবার (১৭ জুন) করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

মোট ৬১টি ল্যাবের মধ্যে ৫৯টি ল্যাবের নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ হাজার ৯২২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৭ হাজার ৫২৭টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৫ লাখ ৫১ হাজার ২৪৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ৪ হাজার ৮ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯৮ হাজার ৪৮৯ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৩ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ১ হাজার ৩০৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯২৫ জন। সব মিলিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা এখন ৩৮ হাজার ১৮৯ জন।

মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন এবং নারী ১৫ জন। এদের মধ্যে ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন, ১১ থেকে ২০ বছর ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর ৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর ৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর ৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর ৯ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ২ জন মারা গেছে। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন এবং রংপুর বিভাগে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছে। এরমধ্যে হাসপাতালে ২৭ জন, বাসায় ১৫ জন মারা গেছে এবং ১ জন হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছে।

বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও