ইমাম মাহদির অপেক্ষায় ইরান-ইরাক! করোনাকালেও জন্মদিন উদযাপন

৩০ এপ্রিল ২০২০, ০১:৩৩ পিএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম


ইমাম মাহদির অপেক্ষায় ইরান-ইরাক! করোনাকালেও জন্মদিন উদযাপন
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর মাঝেও ইমাম মাহদির জন্মদিন পালন করল ইরান ও ইরাকের জনগণ। প্রতিবছর ইরান ও অন্যান্য দেশগুলোর লাখ লাখ শিয়া মুসলিম মসজিদ ও পবিত্র স্থানগুলোতে জড়ো হয়ে ইমাম মাহদির জন্মদিন উদযাপন করে। এ বছর দেশ দুটিতে করোনার ব্যাপকতার কারণে মানুষকে বাসায় থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও প্রিয় নেতার জন্মজয়ন্তী উদযাপনে রাস্তাঘাট সাজানো ও আলোকসজ্জা করেছে সাধারণ মানুষ। কেক কেটেছে, করেছে মিষ্টি বিতরণ।

শিয়ারা মনেকরেন, তাদের নেতা ইমাম মাহদি অচিরেই আত্নপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন। তারা ইমাম মাহদিকে তাদের ১২তম ও শেষ ইমাম মনেকরেন। যিনি ১১তম ইমাম হাসান আল-আসকারি ও বিবি নার্গিসের সন্তান। তাদের মতে, ইমাম মাহদির জন্ম হয়েছে ২৫৫ হিজরিতে শাবান মাসের ১৫ তারিখে। বাবার কাছেই তিনি বড় হচ্ছিলেন। তার বাবা শহীদ হলে ২৬০ হিজরিতে তিনি ১২ তম ইমাম হন। এরপর আল্লাহর ইচ্ছায় গায়েব বা গোপন হয়ে যান এবং কিয়ামতের পূর্বে মুসলিম বিশ্বের সংকটকালীন সময়ে আত্নপ্রকাশ করবেন।

সম্প্রতি এক আলোচনায় ইরানের ধর্মীয় নেতা আলিরেজা পানাহিয়া জানান, কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে তিনি অনেকটাই আশান্বিত যে, এটি ইমাম মাহদির আসাকে ত্বরান্বিত করবে। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ব্যাপকতা ইমাম মাহদির আগমনের ঘোষণাই দিচ্ছে। সুতরাং এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিন। এটি ইমাম মাহদির আগমনকে ত্বরান্বিত করবে।’ আলিরেজাকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির কাছের একজন মনে করা হয়।

ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ বলেন, ‘ইরানের ইসলামি বিপ্লবের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে ইমাম মাহদির আবির্ভাবের পথে নিয়ে যাওয়া। আমি তার আগমনের জন্য দোয়া করি। যখন তিনি আসবেন বিশ্বের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তিনি ন্যায় এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবেন। আমরা তার অপেক্ষায় আছি।’

ইমাম মাহদি কে? এ নিয়ে শিয়াদের ধারণার সঙ্গে ইসলামের সঠিক ধারণার কিছু প্রার্থক্য আছে। রাসূল (সা.) এর হাদীস অনুযায়ী কেয়ামতের পূর্বে মুসলিম বিশ্বের সংকটকালীন সময়ে ইমাম মাহদির আগমন ঘটবে। তিনি গায়েব নেই, বরং তখনই জন্ম হবে এবং ৪০ বছর বয়সে আত্নপ্রকাশ ঘটবে। তিনি আসবেন রাসূল (সা.) এর বংশ থেকে। সমাজের সব অন্যায়, অসততা ও বৈষম্য দূর করে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবেন। তাকে এক রাতে বিশ্ব শাসনের জ্ঞান দেয়া হবে। এর আগে সাধারণ মানুষের মতোই থাকবেন। অনেক মুসলিম পন্ডিতই মনেকরেন তার আগমন একেবারে নিকটে চলে এসেছে। (সূত্র: আলজাজিরা, উইকিপিডিয়া, ইসরায়েল টুডে)


বিভাগ : বিশ্ব


এই বিভাগের আরও